Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথীতে অর্থসাহায্য মিলবে এবার ৫ গুণ, বড় ঘোষণার নেপথ্যে কী আছে?

স্বাস্থ্যসাথীর রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকলে বিশেষ প্রয়োজনে দামি ওষুধ বা রোগ পরীক্ষার জন্য এবার পাঁচগুণ বেশি অর্থসাহায্য পাবেন। আগে এই ধরনের বিশেষ ক্ষেত্রে একবার ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকা মিলত। এবার ২৫ হাজার টাকা করা হল। তবে তা শুধুমাত্র এনএবিএইচ শংসাপত্রপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। স্বাস্থ্যসাথী শাখার পক্ষ থেকে এমনই নির্দেশনামা জারি করা হয়েছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতাল–নার্সিংহোমের আগে অভিযোগ ছিল, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা বাবদ যে টাকা পাওয়া যায় সেটা যথেষ্ট নয়। তাই অনেক বেসরকারি হাসপাতাল–নার্সিংহোম ফিরিয়ে দিত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।

স্বাস্থ্য দফতর থেকে কী জানা যাচ্ছে?‌ স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যসাথী নথিভুক্ত হাসপাতালগুলির মধ্যে ৩০টি হাসপাতাল এনএবিএইচ তালিকাভুক্ত। কলকাতার বেশিরভাগ বড় কর্পোরেট হাসপাতালেরই এই শংসাপত্র আছে। আর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা হার্ট এবং অর্থো রোগীদের জন্য সুখবর শুনিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী শাখা। এবার এমন রোগীদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় ইমপ্ল্যান্ট খরচ (হার্টের ক্ষেত্রে স্টেন্ট, পেসমেকার, অর্থোর ক্ষেত্রে নানান ইমপ্ল্যান্ট) মিটিয়ে দেবে রাজ্য। সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজকে এই টাকা ফেরত দেবে সরকার। তবে শর্ত দু’টি। এক, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর নির্ধারিত মূল্যে সেই খরচ মেটাতে হবে। দুই, রাজ্য বাজেট থেকে রোগীর খরচ না দেওয়া হলে তবেই খরচ মেটানো হবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আগে অভিযোগ উঠেছিল, বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল এই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডকে সামনে রেখে ভুয়ো বিল করছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এভাবে ভুয়ো বিল করে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল টাকা পেয়েছে কি না সেটাও অতন্দ্র নজরদারি চালাতে কড়া পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য দফতর। রোগী পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা যাতে না থাকে তাই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। আবার বেসরকারি নার্সিংহোম যাতে ভুয়ো বিল বানিয়ে মুনাফা করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতেই এমন দাওয়াই। এই বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের পূর্বাঞ্চলীয় সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘‌পাঁচ হাজার টাকা অত্যন্ত কম ও অবৈজ্ঞানিক ছিল। এবার হার বৃদ্ধির বিষয়টি শীঘ্রই কার্যকর হবে বলে আশা করছি।’‌

বড় ঘোষণার নেপথ্যে কী?‌ মুর্শিদবাদ এবং মালদার সদর মহকুমায় স্বাস্থ্যসাথী রোগীরা ইমার্জেন্সি ছাড়া অন্য‌ কোনও ক্ষেত্রে এই দুই মহকুমার কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে না বলে নির্দেশ জারি করল রাজ্য। এক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। যদি মুর্শিদাবাদ–মালদা মেডিক্যাল কলেজ লিখিতভাবে জানায়, কোনও সুনির্দিষ্ট রোগীর চিকিৎসার পরিকাঠামো তাদের নেই, তবেই তাদের ক্রনিক রোগীদেরও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে। স্বাস্থ্যসাথীর বাছাই না করা অন্তত ৩০ শতাংশ খরচের ক্লেম খতিয়ে দেখতে ২০০ জন চিকিৎসকের বিশেষ টিম তৈরি করেছে রাজ্য। প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালের পেয়ে যাওয়া বিলের ৩০ শতাংশের ‘র‍্যান্ডম অডিট’ হবে।