রাশিয়াকে চীনা সহায়তা, ভয় পাচ্ছেন বাইডেন: পুতিন

ইউক্রেন যুদ্ধের ১ বছর হতে একদিন বাকি। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এ অবস্থায় মিত্র চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শাক্তিশালী করতে দেখা যাচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। আর পশ্চিমের সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

পোল্যান্ডের ওয়ারশ এবং রাশিয়ার মস্কোতে বুধবার বৈশ্বিক উত্তেজনা নিয়ে কথা বলেন বাইডেন ও পুতিন।

ওয়ারশে ন্যাটোর উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘ন্যাটোর প্রতিটি স্বার্থ যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব নিয়ে দেখবে। একটি এ সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠীটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে পূর্ব ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে অবস্থান করছে।’///   

অন্যদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং রাশিয়া সফর করবেন জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘সম্পর্ক নতুন সীমানায় পৌঁছেছে। ওয়াশিংটন এখন চিন্তায় আছে। তারা ভয় পাচ্ছে, হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে সহায়তা দিতে পারে বেইজিং।’

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় ভূমি সংঘাতে পরিণত হয়েছে এটি।

যুদ্ধ লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউক্রেনীয় শহর এবং গ্রামগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ডিফেন্ডার অব দ্য ফাদারল্যান্ডের পাবলিক ছুটির দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া পারমাণবিক বাহিনী বাড়ানোর জন্য বাড়তি মনোযোগ দেবে। সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক বিতরণ শুরু হবে। আগামী শুক্রবার সাউথ আফ্রিকায় চীনের সঙ্গে সামরিক মহড়া শুরু করবে রাশিয়া। এ জন্য হাইপারসনিক মিসাইলে সজ্জিত একটি ফ্রিগেট পাঠানো হয়েছে।

চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই-কে বুধবার ক্রেমলিনে স্বাগত জানান পুতিন। ওয়াং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করেন। তাস নিউজ এজেন্সি ওয়াংকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘চীন দৃঢ়ভাবে একটি উদ্দেশ্য এবং নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে। সংকটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তিতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’

তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, চীনা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেননি ল্যাভরভ ও ওয়াং।  

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে দোভাষীর মাধ্যমে ওয়াং বলেন, ‘এখানে সরাসরি তৃতীয় কোনও পক্ষের বিরুদ্ধে আলোচনা হয়নি। আসলে, তৃতীয় পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বিশ্ব।’ সূত্র: বিবিসি