Ernest Mawrie:’আমিও গোমাংস খাই, নিষেধাজ্ঞা নেই’,বিধানসভা ভোটের আগে মেঘালয়ের বিজেপি প্রধানের বক্তব্যে শোরগোল

সামনেই মেঘালয়ে ভোটপর্ব। বিধানসভা ভোটের আগে গোমাংস ভক্ষণ নিয়ে মেঘালয়ের বিজেপি প্রধান আর্নেস্ট মাওরির বক্তব্য কার্যত নতুন করে রাজনৈতিক দোলাচল তৈরি করেছে। মেঘালয়ে গেরুয়া শিবিরের প্রধান আর্নেস্ট আওরি বলছেন, মেঘালয়ে ‘গো মাংস খাওয়া নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।’ শুধু তাই নয়, তিনি জানান, তিনি নিজেও গোমাংস ভক্ষণ করেন।

সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্নেস্ট মাওরি বলেন,’বাকি রাজ্যে নেওয়া প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি বলতে পারব না। তবে আমরা মেঘালয়ে রয়েছি। এখানে প্রত্যেকে গোমাংস খান, কোনও বাধা নেই। হ্যাঁ, আমি নিজেও গোমাংস খাই। মেঘালয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। এটা এখানকার মানুষের জীবনযাপন, এটাকে কেউ বন্ধ করতে পারবে না।’ উল্লেখ্য, গোমাংস ঘিরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এর আগে গোরক্ষকদের নানান ঘটনা উঠে এসেছে। তা নিয়ে রক্তপাত ঘিরে বিতর্ক চলেছে দেশ জুড়ে। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবির বিজেপিও গো-পুজো নিয়ে নানান সময়ে সরব হয়েছে। সেই পার্টিরই নেতা তথা মেঘালয়ে বিজেপি প্রধান আর্নেস্ট মাওরি বলছেন,’ এমন কোনও নিয়ম নেই ভারতেও। কিছু রাজ্য এটা আইন করেছে। মেঘালয়ে আমাদের কসাইখানা আছে। অনেকেই গরু শুয়োর নিয়ে আসেন বাজারে।’ ( সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন পবন খেরা! কংগ্রেস নেতাকে ঘিরে তোলপাড়)

এদিকে মেঘালয়ের প্রতিবেশী রাজ্য বিজেপি শাসিত অসমে গবাদি হত্যার বিরুদ্ধে পাশ করা হয়েছে আইন। সেখানে গবাদি পরিবহন ও গোমাংস বিক্রির বিরুদ্ধেও রয়েছে কড়া বিধি। উল্লেখ্য, উত্তর পূর্বের রাজ্যে বিজেপির অন্যতম মুখ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আর তাঁর রাজ্যে এই পর পর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বশর্মা নিজে গোমাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন জনতাকে। এদিকে, মেঘালয়ের বিজেপি প্রধান বলছেন,’এনডিএ সরকার ৯ বছর ধরে দেশে শাসন করছে, আর কোনও চার্চে আজ পর্যন্ত আক্রমণ হানা হয়নি দেশে। বিরোধীদের অভিযোগ, যে বিজেপি ক্রিস্টান বিরোধী পার্টি, এটা শুধু মাত্র তাদের প্রচার। আমরা মেঘালয়ে আছি , এমন একটা রাজ্য যেখানে ক্রিস্টানের সংখ্যা বেশি, আর আমরা চার্চে যাই।’

ক্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্যের ইস্যু তুলে মাওরি বিজেপি শাসিত গোয়ার প্রসঙ্গ টানেন। মাওরি বলেন,’গোয়াও বিজেপিশাসিত রাজ্য। আর সেখানে একটি চার্চকেও টার্গেট করা হয়নি। একই ঘটনা নাগাল্যান্ডের সঙ্গেও ঘটছে। এটা শুধু কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো কিছু বিরোধী দলের রাজনৈতিক প্রচার।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup