Snake: শিলিগুড়ির কাছে ডবল ইঞ্জিন সাপ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪, দাম শুনলে চমকে যাবেন

রেড স্য়ান্ড বোয়া। বিরাট তার আকৃতি। বেলাকোবা ফরেস্ট রেঞ্জের বনদফতরের টিম এই বিরাট আকৃতির সাপটিকে উদ্ধার করেছে। এই সাপটিকে বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় মূল পাণ্ডাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। চোরাবাজারে প্রায় কোটি টাকা পর্যন্ত এই সাপের দাম ওঠে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে মোটা টাকাতেই এই সাপ  বিক্রি করার ছক কষেছিল পাচারকারীরা। এদিকে এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গের এক তথাকথিত স্বঘোষিত সমাজকর্মীকেও গ্রেফতার করেছে বনদফতর। 

তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছিল এই সাপের। সম্ভবত বিহার থেকে শিলিগুড়িতে আনা হয়েছিল এই সাপটিকে। এরপর ভক্তিনগরের শাস্ত্রীনগর এলাকায় অভিযানে নামে বনদফতর। তারপর উদ্ধার করা হয় সাপটিকে। ধৃতদের মধ্য়ে বিহার ও কোচবিহারের একজন করে বাসিন্দা রয়েছে।

এদিকে নেপাল, কোরিয়া, চিনের বাজারে এই সাপের নাকি বিরাট কদর। আর সেই নিরিখে এই সাপটিকে পাচার করার ছক কষা হয়েছিল।ওই সাপ থেকে নানা ধরনের ওষুধ তৈরি হয় বলে দাবি করা হয়। নানা অন্ধবিশ্বাসও রয়েছে এই সাপকে ঘিরে। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিহারের আনোয়ার মিয়াঁ নামে ওই ব্যক্তি হল পাচারের মূল পাণ্ডা। ধৃতদের মধ্যে অন্য়ান্যরা হল অরিন্দম সরকার, পাসাং লামা শেরপা, জগদীশ চন্দ্র রায়। এটাকে নেপালে পাচার করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।

এদিকে এই সাপটিকে সাধারণত দুমুখো সাপ বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয় ডবল ইঞ্জিন সাপ। কারণ এটির মুখ আর লেজের দিকটা দেখতে অনেকটা একই রকম। এই ধরনের সাপ সাধারণত ভারত, ইরান, পাকিস্তানে দেখতে পাওয়া যায়। নানা নামে ডাকা হয় এই সাপকে। ইন্ডিয়ান স্যান্ড বোয়া, জনস স্যান্ড বোয়া, রেড স্যান্ড বোয়া, ব্রাউন স্য়ান্ড বোয়া সাপ বলেও পরিচিত এই ধরনের সাপ। সেই বিরল প্রজাতির সাপকেই পাচার করার তাল করেছিল কয়েকজন। তবে প্রাথমিক তদন্তে বনদফতর জানতে পেরেছে পাষান লামা নামে ওই ব্যক্তি নানা ধরনের অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। তার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে বনদফতর। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনদফতরের এই অভিযান নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য।