কুখ্যাত প্রতারক সুকেশের জেলবাসের সিসি ফুটেজ ফাঁস, তদন্তের নির্দেশ, কী আছে তাতে?

কুখ্যাত প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখর। তার জেলের সেল তল্লাশির সিসি ফুটেজ ফাঁস। কী রয়েছে তাতে? কীভাবে ফাঁস হল এই ফুটেজ? 

একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ। আর সেই ফুটেজকে কেন্দ্র করে একেবারে হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসলে দিল্লির মান্ডোলি জেলে তল্লাশির সময়কার ওই ফুটেজ। সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে কুখ্য়াত এক অভিযুক্ত প্রতারক যার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি প্রতারণার অভিযোগ। তিনি যখন জেলে ছিলেন তখনকার এই ফুটেজ। এনিয়ে এবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

এটি ডিসেম্বর মাসের একটি ফুটেজ। তখন চন্দ্রশেখর থাকতেন জেল নম্বর ১৪তে। এখন তিনি থাকেন জেল নম্বর ১৩তে। তল্লাশি চালানোর সময় জেল কর্তৃপক্ষ চন্দ্রশেখরের শেল থেকে একজোড়া দামি হাওয়াই চপ্পল ও দুটি মূল্যবান জিন্সের প্যান্ট পায়। তবে জেলে দামী জিনিস পরা যাবে না এমন কোনও নিয়ম অবশ্য নেই। তবে জেলের মধ্য়ে জিন্সের প্যান্ট পরা যায় না। সেকারণে চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে জেলের আইনে অভিযোগ আনা হয়। তবে তাকে ঠিক কী শাস্তি দেওয়া হয়েছিল সেটা পরিষ্কার নয়। 

কিন্তু কীভাবে জেলের মধ্যে জিন্স গেল তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।  প্রশ্ন হচ্ছে সেই সিসি ফুটেজ কীভাবে জেলের বাইরে গেল। কারণ সেই ফুটেজ কোনওভাবেই পাবলিকের কাছে যেতে পারে না। তবে সেটাই হয়েছে এবার। 

এদিকে চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে দিল্লি, মুম্বই, কর্নাটক সহ একাধিক রাজ্য়ে চিটিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। 

২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি তখন দিল্লির রোহিনী জেলে। সেই সময় নিজেকে কেন্দ্রীয় আইন সচিব হিসাবে দাবি করে জেলবন্দি শিল্পপতি শিবিন্দর মোহনকে ছাড়ানোর বিনিময়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকার ফাঁদ পেতেছিল। 

এর আগে দিল্লি আদালত তাকে ইডির হেফাজতে পাঠিয়েছিল। জাপনা এম সিং বলে এক প্রমোটারের স্ত্রীর সঙ্গেও সে আর্থিক প্রতারণা করেছিল বলে অভিযোগ। তিহাড় জেলে বন্দি তার স্বামী মালবিন্দর সিংয়ের সুরক্ষার জন্য সে ৪ কোটি টাকা চেয়েছিল জাপনার কাছ থেকে। সেবারও সে নিজেকে কেন্দ্রীয় আইন সচিব বলে পরিচয় দিয়েছিল।

তবে এবার তার জেলের সেলের সিসি ক্য়ামেরার ফুটেজ কীভাবে বাইরে এল তা ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছে না জেল কর্তৃপক্ষ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup