গোটা পরিবারকে প্যাকেজে চাকরি দিতে ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল চন্দন মামা, দাবি ভাগ্নের

গ্রেফতার হতেই সৎ রঞ্জনের বিরুদ্ধে অসততার অভিযোগে সরব হল তাঁরই আত্মীয়। অরবিন্দ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি নিজেকে চন্দন মণ্ডলের ভাগ্নে বলে দাবি করেন, বাড়ির ৫ জনের চাকরি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল মামা। কিন্তু চাকরি পাইনি। পাইনি টাকাও।

টাকার বিনিময়ে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ করার সময় ইউটিউব ভিডিয়োয় তাঁকে ‘সৎ রঞ্জন’ বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। বলেছিলেন, টাকার বিনিময়ে চাকরি দিতে না পারলে সুদ সমেত টাকা ফেরত দিতেন রঞ্জন। সেই ‘সৎ রঞ্জন’এর বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ করলেন তাঁরই ভাগ্নে। মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডলের ভাগ্নে বলে পরিচয় দিয়ে অরবিন্দবাবু বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাড়ির ৫ জনকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেবে বলে মোট ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল চন্দন মামা। ওনার বাড়ি আর আমার বাড়ি গায়ে গায়ে। তাই বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ চাকরি পাইনি, আর টাকাও ফেরত পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, গ্রুপ ডি সব জায়গায় চাকরি করে দেবে বলেছিল। মামাভাগিনা গ্রামেই অন্তত ১০০ জনকে মামা চাকরি করে দিয়েছে। সমস্ত হোমড়া চোমড়াদের যাতায়াত ছিল। থানার বড়বাবু থেকে বিডিও সবাই সব জানে। এক সময় সকাল থেকে চন্দন মণ্ডলের বাড়ির সামনে যে ভিড় হত অত ভিড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেও হয় না। এই এলাকায় যত বড় বড় চাকরি হয়েছে সবগুলোর পিছনে রয়েছে ও। সবাই চন্দনের ফোঁটা নিয়েছে।’

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দি রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারির অন্যতম দালাল চন্দন মণ্ডল।