পাকিস্তানি এজেন্টের হানিট্র্যাপের শিকার! ভারতের মিসাইল সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস, গ্রেফতার ওড়িশার ITR অফিশিয়াল

ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগের অন্যতম স্তম্ভ ডিআরডিও (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড অর্গানাইজেশন)। ওড়িশার চাঁদিপুরে ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড অর্গানাইজেশন’ এর এক আইটিআর অফিসারকে সদ্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড অর্গানাইজেশন এর ইন্টিগ্রেটে় টেস্ট রে়ঞ্জ এর আওতায় কর্মরত ছিলেন ওই অফিসার। অভিযোগ পাকিস্তানি গুপ্তচররের পাতা মধুচক্রের ফাঁদে পা দিয়ে তিনি ভারতীয় প্রতিরক্ষার বহু গোপন তথ্য পাচার করে দিয়েছেন। আর সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, একটি মিসাইল টেস্ট নিয়ে গোপন তথ্য যা প্রযুক্তিগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের কাছে, তা পাকিস্তানি গুপ্তচরদের কাছে ফাঁস করে দিয়েছেন ওই অফিসার। আইটিআরএর টেলিমেট্রি ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ৫১ বছর বয়সী বাবুরাম দের গ্রেফতারি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সদ্য তাঁকে ওড়িশার বালাসোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর দুটি ফোন নম্বর ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসে। নম্বর ট্র্যাক করে দেখা যায়, ফোন থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত বিভিন্ন গোপন নথি পাচার হয়ে গিয়েছে। সেই ফোনে মিসাইল উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত গোপন নথি ফাঁস করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বহু ছবি পাঠানো হয়েছে ফোন থেকে। যে সমস্ত জায়গায় সাধারণের প্রবেশ নিষেধ সেখানের ছবি ওই ফোন থেকে গিয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে আসা এক মহিলা পাকিস্তানি গুপ্তচরের খপ্পরে পড়ে এই সমস্ত তথ্য তিনি ফাঁস করেছেন। এই মহিলার সঙ্গে এই ব্যক্তির ছবিও রয়েছে ফোনে। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত তথ্যের বদলে ওই মহিলার থেকে ফোনে যৌন সম্পর্কমূলক সম্মোহনি কথাবার্তা চালাতেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। এছাড়াও পেতেন টাকা। অন্যদিকে ফোনে নিজেদের সেক্সুয়াল ভিডিয়োও শেয়ার করা চলত বলে জানা গিয়েছে। (ভারতের এই দ্বীপপুঞ্জের আকাশে রহস্যময় উড়ন্ত বস্তু! উঠছে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য)

গোয়েন্দারা দেখেছেন, বাবুরাম দে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ মিসাইল টেস্টের দিনে অফিসে কোনও দিনও ছুটি নিতেন না। যে সময় মিসাইল টেস্টিং হত সেই সময়ও তিনি অফিসে থেকে যেতেন। এছাড়াও ভারের ক্লাস্টার বম্বের পরীক্ষার সময়ও তিনি অফিসে থেকে গিয়েছেন, এমনটা বহুদিন ধরে ঘটে গিয়েছে। ডিআরডিওর স্টাফ ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তিনি ভালোরকমের যোগাযোগ রাখতেন। জানা যায়, সেইভাবে তিনি গোপনে ডিআরডিওর বহু তথ্য হাতাতে থাকেন, আর তা পাকিস্তানি ওই গুপ্তচরকে সরবরাহ করতে থাকেন। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি গুপ্তচরের সঙ্গে গত এক বছর ধরে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা এখনও খোঁজ চালাচ্ছি যে, ঠিক কতটা তথ্য তিনি ফাংস করে দিয়েছেন, তা নিয়ে। মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুরু হচ্ছে আরও একাধিক তদন্ত। তবে আমরা ওই এজেন্টের খোঁজ পেয়েছি, যিনি রাওয়ালপিন্ডিতে আছেন।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup