Sagardighi By-Election: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনী, আর কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?

সাগরদিঘি উপনির্বাচন নিয়ে তৎপরতা দেখাতে শুরু করল নির্বাচন কমিশন। হাতে আর দু’‌দিন। তারপরই সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও বাড়ানো হল। এই উপনির্বাচন ঘিরে মোট ৩০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হল। আগে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। আরও ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে ভোট পরিচালনায়। মোট ৩০ কোম্পানি বাহিনী থাকবে সাগরদিঘিতে। তার সঙ্গে ২৪৬টি বুথেই পাহারায় থাকবে সশস্ত্র আধাসেনা। তাদেরকে পরিচালনা করবেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।

আর কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?‌ এই উপনির্বাচন নিয়ে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। তাই প্রত্যেকটি বুথেই থাকছে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি। লাইভ ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা থাকছে। এমনকী এই ব্যবস্থার জেরে নয়াদিল্লির নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকেও সরাসরি বুথে নজর রাখতে পারেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। এই বিষয়ে জেলার ওসি ইলেকশন বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‌আগে সাগরদিঘিতে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। আরও ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনা করা হবে। প্রতিটি বুথে থাকছে সিসিটিভি। ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’‌

কেন এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে?‌ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারণ বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে। বিজেপি ও বাম–কংগ্রেস জোট দাবি করছে, বাইরে থেকে বহিরাগতদের এনে রাখা হচ্ছে। শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় গিয়ে মানুষজনকে ভয় দেখাচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে তাঁদের পাল্টা দাবি, প্রচারে বেরিয়ে মানুষের জনসমর্থন আদায় করতে না পারায় এখন এইসব অভিযোগ তুলছে ওরা।

ঠিক কে, কি বলছেন?‌ এই বাড়তি বাহিনী এবং নজরদারির জন্য ২৪৬টি বুথে ক্যামেরা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভোটের দায়িত্বে থাকা কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‌মানুষ সাগরদিঘিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেন। এই নির্বাচনেও তাই হবে। বাম–কংগ্রেসের এই জোট দেখে মানুষ নাক সিঁটকাচ্ছে। তাই জনসমর্থন হারিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করছে।’‌ আর সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জ্যোতিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌মানুষ যদি বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারে তাহলে আমাদের জয় নিশ্চিত।’‌ বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহাও একই অভিযোগ করে বলেন, ‘‌রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন পাড়ায় গিয়ে আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ’‌