হাতির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কি গুলি করে মারার পক্ষে মমতা?

পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে চণ্ডীপাঠ ভুলে শ্রীকুমার দার ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলেন তিনি। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় হাতির হানায় ছাত্রের মৃত্যুতে পরিবেশপ্রেমী ও গ্রিন ট্রাইব্যুনালকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে এদিন হাতি নিয়ন্ত্রণে নেপাল ও বাংলাদেশের উদাহরণ টানেন তিনি। বলে রাখি, নেপাল ও বাংলাদেশে হাতিকে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করে গুলি করে মারা হয়। যে পদ্ধতি বিশ্বজোড়া নিন্দিত।

এদিন মমতা বলেন, ‘এটা তো আমাদের হাতে নেই। হাতির সংখ্যা এত বেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম যাতে একটা রেস্ট্রিকশনের মধ্যে রাখা যায়। কিন্তু পরিবেশপ্রেমী ও গ্রিন ট্রাইব্যুনাল হাতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আজ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আমরা আবার তাদের কাছে যাব আবেদন করব। পবলেম হচ্ছে যে, হাতির সংখ্যা এত বেড়ে গেছে, নেপাল – বাংলাদেশ অন্য কায়দায় এদের ট্যাকেল করে। কিন্তু আমরা পারি না, ঝাড়খণ্ড পারে না। ফলে ঝাড়খণ্ড আর আমাদের এই পবলেমটা খুব হচ্ছে’।

বলে রাখি, নেপাল ও বাংলাদেশে হাতিকে অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করে গুলি করে মারা হয়। তবে হাতিটি যে অনুপ্রবেশ করেছিল তার অকাট্য প্রমাণ দেওয়ার কোনও পদ্ধতি এখনো বিশ্বের সামনে পেশ করতে পারেনি তারা।

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ওনার সরকারের অব্যবস্থার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। একে পরীক্ষাকেন্দ্র দূরে ফেলা হয়েছে। তার ওপর জঙ্গলে কে ঢুকল তার ওপর বনদফতরের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এখন উনি দোষ দিচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীদের ঘাড়ে। এমনকী আদালতকে দায়ী করছেন। উনি হাতি কি মেরে তার দাঁত বিক্রির নতুন কারবার শুরু করতে চান?