Modi-Mamata: সংঘাতের আবহে বাংলাকে ২৬৫০ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের, শিক্ষাখাতে বড় অনুমোদন

উন্নয়নের কাজে রাজনীতি পছন্দ করেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কথা বারবার বলেছেন তিনি। আর সেই কথা অনুযায়ী কাজ করে দেখাল কেন্দ্রীয় সরকার। একশো দিনের টাকা, গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা এখনও আসেনি ঠিকই। তবে শিক্ষাখাতে মমতার বাংলাকে মোদীর সরকার বরাদ্দ করেছে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। বাংলার শিক্ষা দফতরের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ অনুমোদন করল কেন্দ্র। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এটা বড় খবর। ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে সমগ্র শিক্ষা বিষয়ের জন্য ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। চলতি বছরের জুন মাস থেকে কিস্তির ভিত্তিতে টাকা জমা পড়বে।

এবার শিক্ষাখাতে বড় অঙ্কের টাকা বাংলার জন্য অনুমোদন করেছে মোদী সরকার। সমগ্র শিক্ষা মিশনে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আলাদা করে ২৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার। স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সমগ্র শিক্ষা অভিযান খাতে বরাদ্দ টাকার মধ্যে ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আর ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। শুক্রবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে সমগ্র শিক্ষা মিশনের অফিসারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্য। সেই বৈঠকেই রাজ্যের পক্ষ থেকে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকে। তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্র এবং আর্থিক বরাদ্দ দেওয়ার বিষয় অনুমোদন দেওয়া হয়।

কবে আসবে শিক্ষাখাতের টাকা?‌ এদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্য সরকার। আজ, শনিবার রাজ্যের কাছে শিক্ষাখাতে অর্থ অনুমোদনের সেই চিঠি এসে পৌঁছেছে। প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্র–রাজ্যের সংঘাত চলছিল। আগামী জুন মাসের মধ্যেই বরাদ্দ টাকার প্রথম কিস্তি বাংলায় এসে পৌঁছবে নয়াদিল্লি থেকে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যে মিড–ডে মিল কেমন চলছে?‌ তা নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য সম্মিলিত যৌথ পরিদর্শন দল আসে রাজ্যে। তাঁরা একাধিক জেলা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে তাঁরা দিল্লি ফিরে গিয়ে মিড–ডে মিলের টাকা নিয়ে অডিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিন বছরের বরাদ্দ টাকার অডিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর রাজ্য তা পাঠিয়ে দেয়। যা দেখে সন্তুষ্ট কেন্দ্র।

তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের অনেক নেতার। এই কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন বহু বিজেপি নেতা। স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে এই খবর মোটেই সুখকর নয় তাঁদের কাছে। নিয়োগ দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে টাকা না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন বহু বিজেপি নেতা। যার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘কেউ কেউ বাংলার খেয়ে বাংলারই সমালোচনা করেন।’