SSC Scam: কোথায় গেলেন হৈমন্তী? মুখ খুললেন তার মা,গোপালকে ভালোবেসে বিয়ে করে…

নিয়োগ দুর্নীতিতে আচমকাই ভেসে উঠেছে একটি নাম, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। যুব তৃণমূলের নেতা তথা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ এই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নাম সামনে এনেছিলেন। কিন্তু কে এই হৈমন্তী? কুন্তলের দাবি তিনি গোপাল দলপতির স্ত্রী। এদিকে সূত্রের খবর, মডেলিং, সিনেমা জগতে নাম করার চেষ্টা করছিলেন হৈমন্তী। একটি পরিচিত ছবিতে তিনি নার্সের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। অপর একটি ছবিতেও নাকি তিনি অভিনয় করেছিলেন। 

সূত্রের খবর, হাওড়ার বাকসারাতে হৈমন্তীর আদি বাড়ি। তবে কলকাতায় তাদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে নাকি তিনি গোপালের সঙ্গে থাকতেন। আবার হাওড়াতে বাবা মায়ের কাছেও মাঝেমধ্যে যেতেন । প্রতিবেশীদের দাবি কিছুদিন আগেই হৈমন্তীকে দেখা গিয়েছে। তবে কী বলছেন হৈমন্তীর মা? তিনি অবশ্য মেয়ের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে বার বার বলেছেন। 

এদিন সংবাদমাধ্যমে সামনে হৈমন্তীর মা জানিয়েছেন, আমি কিছুই জানি না। আমায় কেন ডিসটার্ব করছেন? কবে বিয়ে হয়েছিল জানি না। ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। অনেকদিন আগে গোপাল দলপতি আসত। ১০-১৫ দিন আগে এসেছিল। হৈমন্তী কী করত, কোথায় যেত কিছুই জানি না আমরা। অনেক কিছুই করত। কিন্তু আমরা কিছুই জানি না। আমাদের কেন বলছেন। আমরা অসুস্থ। হাসপাতালে দেখাই। আমরা এসবের কিছু জানি না। প্রতিবেশীরা তো বলবেনই। আমরা যাচাই করে দেখুন। এখন ভিখিরি হয়ে গিয়েছে। ভালোবেসে বিয়ে হয়েছিল। আগে গাড়ি আসত। এখন কেউ আসে না। মেয়ে মারা গেছে। এইবলে তিনি দরজা বন্ধ করে দেন।

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রুপোলি জগতের দ্বিতীয়  যে নারীর নাম উঠে আসছে তার নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের কলকাতা ফ্ল্যাটের অন্যান্য আবাসিকরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে ফ্ল্যাটে এসে থাকতেন তারা। মাস দুয়েক থেকে ফের ভ্যানিস হয়ে যেতেন। আবার কিছুদিন বাদে ফিরে আসতেন।

এদিকে এদিন হৈমন্তীদের আদি বাড়ি হাওড়ার বাকসারাতে গিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। সেখানে তার মা কথাও বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। কিন্তু হৈমন্তীর কার্যকলাপ সম্পর্কে বিশেষ কোনও তথ্য় তারা দিতে পারেননি। তবে ওই পরিবারে তার বাবা, মা ছোট বোন রয়েছেন।

এদিকে স্থানীয়দের দাবি, মাঝেমধ্যেই বাড়ির সামনে বড় গাড়ি এসে দাঁড়াত। গাড়়ি চেপেই আসতেন হৈমন্তী। কিন্তু তিনি যে

এদিকে একটি নেমপ্লেট লাগানো ছিল বাড়িতে। সেই নেমপ্লে়টটি খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নাকি শিক্ষাসদন শব্দটি লেখা ছিল। কিন্তু সেটা খুলে দেওয়া হল কেন? উত্তরবঙ্গের কোন রাজনৈতিক নেতার পিএর অ্যাকাউন্ট থেকে আসত টাকা?এটাও প্রশ্ন।