সাবেক মেম্বারকে হত্যার পর মাটিচাপা: বাবা-ছেলে গ্রেফতার

ময়মনসিংহের নান্দাইলে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখার ঘটনার মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা বাবা-ছেলে। হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন নান্দাইলের বেলতৈল গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তার (৭০) ও তার ছেলে আব্দুল মমিন (১৯)। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার জোয়ারিয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৪-এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন।

নিহত আবু সাঈদ (৫০) উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছানুয়াপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ওই এলাকার ছফির উদ্দিনের ছেলে। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বেলতৈল গ্রাম থেকে পুঁতে রাখা অবস্থায় সাঈদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‌‘গত বুধবার রাত ৮টার দিকে আবু সাঈদ বনগ্রাম চৌরাস্তা বাজারে ওষুধ কিনতে যান। এ সময় বাজারে চা পান করতে বসলে আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় সাঈদের। এরপর থেকে তার মোবাইল নম্বরে স্বজনরা একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। পরে দীর্ঘ সময় আশপাশের লোকজন মিলে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে বেলতৈল গ্রামের পানক্ষেতের ড্রেনে সাঈদের মোবাইল বাজার শব্দ শুনতে পান স্বজনরা। সেখানে পুঁতে রাখা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র দিয়ে সাঈদকে কুপিয়ে হত্যা করেন আব্দুস সাত্তার ও তার সহযোগীরা। পরে লাশ পুঁতে রেখে সাত্তার ও তার স্বজনরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা করেন সাঈদের ছেলে। মামলার পর র‌্যাব-১৪-এর একটি দল বাজিতপুর থানার জোয়ারিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা। তাদেরকে নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’