Iconic Citi Bank Board to come down: ১২১ বছর পর চৌরঙ্গী রোডের ঐতিহাসিক কণক বিল্ডিং থেকে সরছে সিটি ব্যাঙ্কের বোর্ড!

ময়দান মেট্রোর সামনেই দাঁড়িয়ে লাল রঙের কনক বিল্ডিং। সেই বিল্ডিংয়েই সিটি ব্যাঙ্কের শাখা ছিল এতকাল। তবে ১২১ বছর পর সিটি ব্যাঙ্কের বোর্ড সরছে সেই বিল্ডিং থেকে। কারণ ভারত থেকে নিজেদের ব্যবসা গুটি নিচ্ছে সিটি ব্যাঙ্ক। এই একই বিল্ডিংয়ে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের একটি শাখাও। উল্লেখ্য, ভারতে সিটি ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা ও খুচরো ব্যবসা অধিগ্রহণ করছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। ভারতে চালু হওয়া বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে অন্যতম পুরোনো হল সিটি ব্যাঙ্ক। ১৯০২ সালে ভারতে ব্যবসা শুরু করেছিল সিটি ব্যাঙ্ক। কণক বিল্ডিংয়ের এই অফিস থেকেই ভারতের তাদের যাত্রা শুরু করেছিল সিটি ব্যাঙ্ক। তবে সেই ঐতিহাসিক বিল্ডিং থেকে ১২১ বছর পর নামতে চলেছে সিটি ব্যাঙ্কের বোর্ড। (আরও পড়ুন: বৈঠকের পর প্রকাশ্যে G20 অর্থমন্ত্রীদের মতানৈক্য, রাশিয়া-চিনের বিপরীত মেরুতে ভারত)

জানা গিয়েছে, মোট ১৩টি দেশ থেকে গ্রাহক পরিষেবা ও খুচরো ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে সিটি ব্যাঙ্ক। ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম। এই আবহে সিটি ব্যাঙ্কের শাখাগুলি অ্যাক্সিসের হস্তাগত হবে। কিছু শাখার সাইনবোর্ডে সিটি এবং অ্যাক্সিস উভয় ব্যাঙ্কেরই লোগো থাকবে। আর কিছু সিটি ব্যাঙ্কের শাখায় শুধুমাত্র অ্যাক্সিসেরই বোর্ড থাকবে এরপর থেকে। এই ‘রিব্র্যান্ডিং’-এর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই সংস্থার ‘মার্জার’ কার্যকর হবে ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে। এর আগে ২০২১ সালেই ভারতে সিটি ব্যাঙ্কের ব্যবসা অধিগ্রহণের চুক্তি করেছিল অ্যাক্সিস।

জানা গিয়েছে, কণক বিল্ডিংয়ের সাইনবোর্ডে সিটি ব্যাঙ্কের লোগো থাকবে। তবে তার সঙ্গে অ্যাক্সিসের লোগো যুক্ত হবে। তাই পুরোনো সাইনবোর্ড নামিয়ে নতুন বসানো হবে। এদিকে সিটি ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে, এই বদলের বিষয়ে গ্রাহকদের বহু আগেই জানানো হয়েছে। এবং এই বদলের জেরে গ্রাহক পরিষেবায় কোনও বদল আসবে না। দু’টি ব্যাঙ্কই চায় যাতে মসৃণ ভাবে পুরো মার্জার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। জানা গিয়েছে, সিটি তার নির্দিষ্ট কিছু শাখার মাধ্যমে গ্রাহকদের কর্পোরেট, বাণিজ্যিক এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করতে থাকবে ভারতে। এদিকে ভারত ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, চীন, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, রাশিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে গ্রাহক পরিষেবা ও খুচরো ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে সিটি ব্যাঙ্ক।