নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ অভিজিৎ সরকারের পরিবার, শুনানি হতে পারে আজই

নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের কলকাতার বেলেঘাটায় ভোটপরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের পরিবার। রবিবার অভিজিতের মাকে অভিযুক্তরা এসে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে হাজির হয়েছে মামলা।

অভিজিতের দাদা বিশ্বজিত জানিয়েছেন, সোমবার শিয়ালদা আদালতে অভিজিৎ সরকার হত্যায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য রয়েছে। সাক্ষ্য দেওয়ার কথা অভিজিতের মায়ের। অভিযোগ, শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা গুন্ডা নিয়ে পৌঁছন অভিযুক্তদের আইনজীবী। অভিজিতের মা-কে সাদা কাগজে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। সই করতে অস্বীকার করায় বৃদ্ধাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লাগাতার চাপের মুখে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিতের মা। তাঁকে NRS হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসেন বিশ্বজিৎবাবু।

তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে আমাদের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। থাকে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। ঘটনার পর পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে বললে তারা জানায়, ক্যামেরা চালু হচ্ছে না।

এর পর নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিজিতের পরিবার। বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে। মামলাটি গ্রহণ করে দ্রুত নারকেলডাঙা থানাকে নোটিশ পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সোমবারই দ্বিতীয়ার্ধে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।

২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিকেলে বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নারকেলডাঙা এলাকার বিজেপি কর্মী অভিজিতকে তৃণমূলের গুন্ডানা নৃশংস ভাবে পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ। অভিজিতের সঙ্গে পিটিয়ে মারা হয় তাঁর পোষ্য কুকুরটিকেও। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের বাহুবলী বিধায়ক পরেশ পালের দিকে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সিবিআইয়ের তদন্তের গতিতে তাঁরা খুশি নয় বলে জানিয়েছে অভিজিতের পরিবার। রবিবার অভিজিতের বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আরও একবার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।