নীলবাতি গাড়ি করে ঘুরতেন, বিভাস অধিকারীর দাবি, গোপাল – কুন্তলকে চিনি না

নিয়োগ দুর্নীতি অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মুখে উঠে এসেছে ডিএলএড প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বিভাগ অধিকারীর নাম। তাঁর নাম শোনা গিয়েছে আরেক সন্দিগ্ধ গোপাল দলপতির মুখে। সেই বিভাস অধিকারী সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন, গোপাল বা কুন্তল কাউকেই চেনেন না তিনি। তবে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিজের যোগাযোগর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

কৃষ্ণপুর টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের কর্ণধার বিভাস অধিকারী বলেন, আমি গোপাল দলপতি বা কুন্তল ঘোষকে চিনি না। ওরা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এটা একটা আশ্রম। রাজ্যে যারা কলেজ চালায় তাদের কারও সম্পত্তি আমার সম্পত্তির থেকে কম দেখাতে পারলে জেলে যাব। ওরা বাবা – মায়ের নামে শপথ করে বলুক ওরা আমাকে চেনে। আমি ওদের টিভিতেই দেখেছি।

তিনি বলেন, রাজ্যে কেউ DlED কলেজ চালাবে আর মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে না তা আবার হয় না কি? মানিকবাবুকে সেইভাবেই চিনতাম। তাছাড়া কোনও যোগাযোগ ছিল না।

ওদিকে কলকাতায় গোপাল দলপতির কলেজের সিটি অফিস যে বহুতলে সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন অন্য কথা। ১৮ নম্বর কার্তিক বসু স্ট্রিটে একটি ফ্ল্যাটে বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন চালাতেন তিনি। ওই আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে মাঝেমাঝেই আসতেন বিভাস। কালো কাচে ঢাকা নীলবাতি লাগানো গাড়ি করে সেখানে এসে পৌঁছতেন তিনি। তিনি সেখানে পৌঁছলেই বহু যুবক যুবতী ভিড় করতেন। তাঁদের হাতে থাকত ফাইল। কয়েকদিন থাকার পর বিভাসবাবু যখন ফিরতেন তখন তাঁর গাড়িতে বেশ কয়েকটি ট্রাঙ্ক তোলা হত।

স্থানীয়রা আরও জানাচ্ছেন, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত বন্ধ করে দেন বিভাস। টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বোর্ড সরিয়ে লাগানো হয় সৎসঙ্গের বোর্ড। আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিভাস তাঁদের বলতেন তিনি ধর্মপ্রচারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি যখন ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরোতেন তখন তাঁকে দু’হাতে টাকা বিলি করতে দেখেছেন অনেকে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বিভাসের সেই ফ্ল্যাট ইতিমধ্যে সিল করে দিয়েছে ইডি।