বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই ছাত্র খুন, রক্তাক্ত ওই রাজ্য়ের শিক্ষাঙ্গন, পেট চিরে দিল

পাতিয়ালার পঞ্জাব বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ভয়াবহ ঘটনা। সোমবার দুই দল ছাত্রের মধ্য়ে সংঘর্ষ বাঁধে। আর সেই সংঘর্ষের জেরে ২০ বছর বয়সী যুবক নভোজৎ সিংকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হল। তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তিনি কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন। তাকেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আরও চারজন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। পুলিশ এনিয়ে তদন্তে নেমেছে। 

এদিকে এই ঘটনার প্রভাব আছড়ে পড়েছে পঞ্জাবের রাজনীতিতে। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সেজন্যই এসব হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য় সহ সভাপতি জয় ইন্দর কাউর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে লিখেছেন এবার জাগুন।

তিনি টুইট করে লিখেছেন, পঞ্জাবে প্রকাশ্য়ে দিনের আলোয় একের পর এক খুন হচ্ছে। এটা উদ্বেগের। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত। ভগবন্ত মানজী এবার জেগে উঠুন, এবার পঞ্জাবের আইন শৃঙ্খলার উপর একটু নজর দিন। 

কিন্তু কী করে হল ঘটনাটি?

সূত্রের খবর,  ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেই কিছু বহিরাগত জড়ো হয়েছিলেন। আর তারপরই এই খুনোখুনির ঘটনা। একেবারে পর পর ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে ওই যুবককে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। সরকারি রাজিন্দ্র হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তার।

তার পেটে ছুরি দিয়ে চিরে দেওয়া হয়েছিল। রক্তে ভেসে যায় শরীর। অপর একজন ছাত্রের মাথায় আঘাত লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক দলজিৎ আমি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এটা পুলিশের কাছে দেওয়া হচ্ছে। দুপুর ১২টা ১৫ নাগাদ ঘটনাটি হয়েছে। সেই সময় অন্তত ২০জন পড়ুয়া সেখানে ছিলেন। তাদের কয়েকজনের মধ্যে বচসা হচ্ছিল।এরপরই একের পর এক ছুরির আঘাত তার শরীরে। তবে কী কারণে এভাবে তাকে খুন করা হল তা এখনও পরিষ্কার নয়।

এদিকে ওই যুবক ছিলেন ডে স্কলার। তার বিরুদ্ধে কেন এই রাগ তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে একাধিক চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা হয়েছে। কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে একটি বাইক চুরি হয়েছিল। তবে এদিনের ঘটনা সব কিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে এভাবে শিক্ষাঙ্গন রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা মানতে পারছেন না অনেকেই।