রেললাইনে শুয়ে আছেন কে? জলপাইগুড়িতে তিস্তা তোর্সা থামিয়ে দিলেন চালক

কলকাতাগামী তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। আচমকাই নিউ ময়নাগুড়ি থেকো দোমোহনির মাঝে আচমকাই ট্রেনের চালক দেখেন রেললাইনের উপর কেউ যেন শুয়ে রয়েছেন। এদিকে এরপরই ট্রেনের চালক ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এরপর ট্রেন থেকে নেমে পড়েন তিনি। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে তাঁরা দেখেন রেললাইনের মাঝে এক ব্যক্তি শুয়ে আছেন। কোনওরকমে তাঁর প্রাণ রক্ষা করেন চালক।

এদিকে রেলকর্মীরা কাছে আসার পর কার্যত সম্বিত ফিরে পান ওই ব্যক্তি। এরপরই ট্রেন চালক সহ অন্যান্যরা তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। কেন তিনি এভাবে শুয়ে রয়েছেন? 

আসলে দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন ওই ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন কাজ নেই। তিনি চিকনমাটি এলাকার বাসিন্দা। প্রৌঢ় ওই ব্যক্তি এরপর সকলের অনুরোধে রেললাইন থেকে উঠে বসেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এভাবে কেন রেললাইনে শুয়ে রয়েছেন? এমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড় করানো হয় ট্রেনটিকে। রেলকর্মীরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন রেললাইনে শুয়ে ছিলেন? তিনি বলেন, সুইসাইড করার জন্য শুয়ে পড়েছিলাম। কেন সুইসাইড করতে চাইছেন? তার উত্তরে তিনি বলেন, কাজ নেই। 

এরপর রেলকর্মীরা ওই প্রৌঢ়কে বুঝিয়ে রেললাইন থেকে সরিয়ে দেন। তার সঙ্গেই তাঁরা পরামর্শ দেন পৃথিবীটা সুন্দর। এভাবে চলে যাবেন না। এভাবে হেরে যাবেন না। আস্তে আস্তে ওই জায়গা থেকে তিনি চলে যান। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। চালকের তৎপরতায় তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। 

এদিকে এমার্জেন্সি ব্রেক কষে এভাবে একজনের প্রাণ বাঁচানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। চালকের তৎপরতার কথা উল্লেখ করেছেন অনেকেই। চালককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকেই। তাঁর তৎপরতায় বেঁচে গেল একটি তরতাজা প্রাণ। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে এর সঙ্গেই সামনে আসছে সীমাহীন বেকারত্বের কথা। সামনে আসছে সেই সব প্রান্তিক মানুষদের কথা। সামনে আসছে তাঁদের দারিদ্রতার কথা। কিন্তু এভাবে জীবনকে শেষ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।কিন্তু রবিবারের ঘটনা গোটা সমাজের কাছে একটি বড় প্রশ্ন তুলে দিল। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup