Coronavirus Origin: কোভিড সংক্রমণের নেপথ্যে রয়েছে চিনা ল্যাবই, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

২০১৯ সালের শেষ লগ্নে এসে চিনে আচমকাই দেখা দিয়েছিল এক অজানা রোগ। সেই রোগ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। কয়েক মাসের মধ্যে কোভিড জ্বরে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। কোভিড সংক্রমণ রুখতে প্রায় সব দেশই লকডাউনের নির্দেশ দেয়। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করে এসেছি আমরা। কোভিড অতিমারীর শুরুর তিন বছর পর আজও অবশ্য এটা সঠিক ভাবে জানা যায়নি যে কী থেকে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। তবে যেহেতু চিন থেকেই এই সংক্রমণ শুরু হয়, তাই প্রথম থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল, কোনও ভাবে চিনা কোনও ল্যাব থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে সংক্রমণের আকার ধারণ করে থাকতে পারে। এই আবহে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হল। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চিনের ল্যাব থেকেই ভুল করে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা সংক্রমণ। (আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে চরম সিদ্ধান্ত, ডিএ-র দাবিতে ফের কর্মবিরতি সরকারি কর্মীদের)

কোভিড সংক্রমণ নিয়ে একাধিকবার চিনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তো এই ভাইরাসকে ‘চিনা ভাইরাস’ নামে ডাকতে শুরু করেছিলেন। এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে চিনের উহান ল্যাব থাকতে পারে বলে শোনা যায়। গোটা বিশ্ব জুড়ে যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। এবারও সেই উহান ল্যাবের ঘাড়েই ‘দোষ’ চাপল কোভিড অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায়। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন ‘এনার্জি ডিপার্টমেন্ট’ এই উপসংহারে এসেছে যে চিনা ল্যাবে একটি দুর্ঘটনার কারণেই সম্ভবত করোনভাইরাস মহামারির সৃষ্টি হয়েছিল। এমনটাই দাবি করল ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা সংক্রান্ত রিপোর্টে এনার্জি ডিপার্টমেন্টের উপসংহারে লেখা ছিল, কোভিড অতিমারির উৎস সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত নয় তারা।

জানা গিয়েছে, এনার্জি ডিপার্টমেন্টের এই আপডেটেড নথি কংগ্রেসের তরফে চাওয়া হয়নি। তবে সেনেটর এবং কংগ্রেস সদস্যরা নিজেরা এই বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন এবং এই অতিমারির উৎস সম্পর্কিত আরও বেশি তথ্য প্রকাশ করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ দিচ্ছে। এদিকে জানা গিয়েছে, এনার্জি ডিপার্টমেন্টের এই রিপোর্টের ‘আপডেট’ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বিশ্ব জুড়ে এই ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন উচ্চ মানের ল্যাব রয়েছে। এবং সেখানেও তারা বায়োলজিকাল গবেষণা করে থাকে। এর আগে ২০২১ সালে এফবিআই একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, সম্ভবত ল্যাবের থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। তবে ইচ্ছে করে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া হয়নি বলেই উল্লেখ করা হয়েছে এফবিআই এবং এনার্জি ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে। এদিকে মার্কিন ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্যানেল’ এখনও মনে করে যে প্রাকৃতিক ভাবেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তাছাড়া মার্কিন আরও তিনটি এজেন্সিও মনে করে ল্যাব নয়, বরং প্রকৃতি থেকেই মানুষের মধ্যে প্রবেশ করেছিল করোনা। এদিকে সিআইএ এখনও নিশ্চিত নয় যে ঠিক কী কারণে এই সংক্রমণ ঘটেছিল। এদিকে এনার্জি ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টের সারাংশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। তবে তিনি রিপোর্টের সত্যতা অস্বীকারও করেননি।