Nishith-Udayan: নিশীথ–কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা পুলিশের, তালিকায় ৪৮জন বিজেপি নেতা–কর্মী

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা–সহ বোমা, গুলি চলার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। আবার এই ঘটনার জেরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ থানা। সেখানে মোট ৪৮ জন বিজেপি নেতা–কর্মীর নাম রয়েছে মামলার তালিকায়। এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ২১ জন। সুতরাং রাজ্য–রাজনীতিতে এখন জমজমাট চিত্রনাট্য। এই ঘটনা নিয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘বুড়িরহাটের ঘটনায় সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। দু’টি বাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় দু’জন দু’টি পৃথক মামলা দিনহাটা থানায় দায়ের করেছেন।’

এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের উপর চাপ তৈরি করতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই কড়া বিবৃতি জারি করে রাজভবন। আর পুলিশ সূত্রে খবর, এই মামলায় বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস, দিনহাটা শহরের মণ্ডল সভাপতি অজয় রায়, বিজেপি নেতা জয়দীপ ঘোষ, বিজেপি মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী অর্পিতা নারায়ণ–সহ অনেকেরই নাম রয়েছে। এমনকী জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। যদিও বিজেপি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করছে। জবাব আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও। আর তা নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।

ঠিক কী অভিযোগ বিজেপির?‌ স্বয়ং নিশীথ প্রামাণিক বলেন, আমাকে আক্রমণ করার মানেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করা। আর বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। যাঁদের গাড়ি ভাঙল, যাঁদের বাড়ি ভাঙা হল, পুলিশ তাঁদের নামে মামলা দিয়েছে। আর তৃণমূলের যাঁরা হামলা চালাল, পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’ এদিকে আগামীকাল, মঙ্গলবার কোচবিহারে আসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি হুঙ্কার ছেড়েছেন, কত গুলি, বোমা আছে তৃণমূলের দেখতে কোচবিহারে ঘুরে বেড়াব।

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ পাল্টা দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি এই বিষয়ে বলেন, ‘‌নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কম করে ১০০ জন দুষ্কৃতী ছিল। ৪৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি, মুখে কালো কাপড় বেঁধে অস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপি। পুলিশের পদক্ষেপ করা উচিত। পুলিশ যা কাজ করছে, ভালই করছে। বিজেপি যদি দেখাতে পারে, তৃণমূলের একজনও মুখে কাপড় বেঁধে অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছে, তা হলে আমরা নিজেরাই তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেব।’