Sagardighi Bypoll: প্রিসাইডিং অফিসারকে সরাল নির্বাচন কমিশন, সাগরদিঘিতে কেন উত্তেজনা?

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন শুরুটা ঠিকঠাক হলেও ভোটগ্রহণের কিছু পরেই অশান্তি শুরু। পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে বচসা থেকে শুরু করে বিজেপি প্রার্থীর নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। নানা ঘটনা এই উপনির্বাচনে ঘটার জেরে সাগরদিঘির ডাঙরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ভোট চলাকালীন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উঠল।

আজ, সোমবার সামসাবাদ হাইস্কুলে পরিদর্শনে গিয়ে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশ কর্মীদের সরিয়ে দেন বিজেপি প্রার্থী। আবার বিজেপি প্রার্থীকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুথে ঢুকতে দেখা যায়। এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক উত্তেজনা। কিন্তু সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১১ নম্বর বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বুথে ঢুকতে চেয়েছিলেন দেবাশিস। কিন্তু বুথে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে আটকে দেন। যা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়।

এদিকে নির্বাচনের সকালেই মক পোলকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মক পোলকে কেন্দ্র করে পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে বচসায় জড়ানোর জেরে ডাঙরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ। সামসাবাদ হাইস্কুলে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা গেল কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সাগরদিঘিতে মোট বুথের সংখ্যা ২৪৬। তার মধ্যে একটি অক্সিলিয়ারি বুথ। মহিলা পরিচালিত একটি বুথও আছে। উপনির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩ এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ২১ হাজার ২৮৭ জন।

অন্যদিকে সাগরদিঘির বোখরা ৪৮ নম্বর বুথে বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ ওঠায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ, ভোটগ্রহণ চলাকালীন বাইরে থেকে কেউ কেউ বুথে ঢুকে পড়েছেন। ধুলিয়ান পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহেবুব আলম ওই বুথে এসেছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের ফেস্টুন লাগানো টোটোয় ভোটারদের নিয়ে আসা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠায় উত্তপ্ত হয় সাগরদিঘি। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। তার পরই সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫৩ নম্বর ডাংরাইল বুথে প্রিসাইডিং অফিসার বদল হয়। যিনি দায়িত্বে ছিলেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল ওই বুথে।