বিবিসির তথ্যচিত্র, জর্জ সোরোসকে নাম না করে কটাক্ষ উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান ব্যবসায়ী জর্জ সোরোসের বিরুদ্ধে ব্যাট ধরলেন। বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধেও তিনি সুর চড়ালেন।তবে তিনি কোনও ক্ষেত্রেই নাম উল্লেখ করেননি। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, ভারতের একটি আইন ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সহ সকলেই আইনের সেই বন্ধনে আবদ্ধ। প্রায় দু দশক ধরে ওই ইস্যুটি ছিল বিচার ব্যবস্থার অন্দরে। সমস্ত স্তরে এনিয়ে যাচাই করে দেখা হয়েছে।  ২০২২ সালে সম্পূর্ণভাবে দেশের শীর্ষ আদালত এনিয়ে রায় দিয়েছে। আর তথ্য় চিত্রের মাধ্য়মে একটি বিষয়কে ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন এটা নাকি একটি বহিঃপ্রকাশ। কার্যত নাম না করে তিনি বিবিসির তথ্যচিত্রতে যেভাবে মোদীকে তুলে ধরা হয়েছিল তারই প্রতিবাদে সরব হন।

তবে আপনারা কি মতপ্রকাশের নাম করে সুপ্রিম কোর্টকেও ছোট করতে চেষ্টা করছেন? আপনারা কি দু দশক ধরে যে তদন্ত করা হয়েছিল সেটাও ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করছেন?আসলে অন্যভাবে একটা রাজনীতি করা হচ্ছে। জানালেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

ওই বিতর্কিত বিবিসি তথ্য়চিত্রের নাম ইন্ডিয়া দ্য মোদী কোয়েশ্চেন। এটিতে মূলত ২০০২ সালের গুজরাটে তথাকথিত দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিকে কারোর নাম না করে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, একজন ভদ্রলোক নিজের অর্থবলে, কিছু পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নানা কথা বলেন, আর তিনিই নাকি আমাদের দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন। আমি এতে যন্ত্রণা পেয়েছি। তিনি আবার পড়ুয়াদের নজরদারি করার কথা বলেছেন।

এদিকে সম্প্রতি ধনকুবের সোরোস জানিয়েছিলেন, আদানিকাণ্ডের মাধ্যমে মোদীর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে। এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। আদানি ইস্যুতে মার্কিন বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোসের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে।  সোরোসকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সোরোসকে ‘বুড়ো, ধনী, মতামতযুক্ত এবং বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করলেন জয়শংকর। অস্ট্রেলিয়ায় এক অনুষ্ঠানে সোরোস প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, ‘কয়েক বছর আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে লাখ লাখ মুসলিমের থেকে নাকি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। আদতে সেরকম কিছুই হয়নি। খুব ভিত্তিহীন কথা বলেছিলেন তিনি। তবে তাঁর বক্তব্যের আসল মর্ম বুঝতে হবে সবাইকে। সোরোস একজন ধনী, বুড়ো ব্যক্তি যে কিনা নিউইয়র্কে থাকেন এবং ভাবেন যে তাঁর চিন্তাধারাতেই বিশ্ব চলবে।’