2.30 lakh rupees corruption: ২.৩০ লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয়ের মামলায় রাজ্যের কাছে খরচের হিসেব চায় হাইকোর্ট

ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের দাবির বিরোধিতা করল রাজ্য। যদিও রাজ্যের তরফে জানানো হয় রিপোর্ট আলোচনার জন্য পাবলিকস অ্যাকাউন্ট কমিটিতে (পিএসি) রয়েছে। ফলে আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। যদিও রাজ্যের সেই যুক্তি মানতে চায়নি কলকাতা হাইকোর্ট। 

বিজেপি নেতা জগন্নাথ দাবি করেছিলেন, তিনি সাংবাদিক হিসেবে এই মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, যে রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলাটি হয়েছে সেই রিপোর্টটি এখন বিধানসভায় বিবেচনার জন্য রয়েছে। গত ১৭ মার্চ থেকে ওই রিপোর্টটি বিধানসভায় পেশ করা হয়েছিল। বিষয়টি যেহেতু আলোচনার জন্য রয়েছে, তাই এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে না। মঙ্গলবার এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ২০২০–২১ সালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর কোনও রিপোর্ট নেই। কেন তার রিপোর্ট নেই? খরচই কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। যদিও এজি উত্তরে জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও নির্দেশ নেই। হাইকোর্ট চাইলে বিধানসভাকে যুক্ত করতে পারে। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। এ বিষয়ে তিনি সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। এদিন বিচারপতি বলেন, ‘পিএসিতে কী হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে নাকি সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট চাইবে আদালত।’ অন্যদিকে, সিবিআই জানায় তারা এই ঘটনায় তদন্ত করতে প্রস্তুত।

পাশাপাশি, এই জনস্বার্থ মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁর যুক্তি, ক্যাগের রিপোর্ট প্রথমে রাজভবনে যায়। সেখান থেকে যায় বিধানসভায়। তারপর বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) এনিয়ে আলোচনা করে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup