খালি বাড়িতে অতিরিক্ত কর আরোপ, পিছু হঠল কেরল সরকার, স্বস্তিতে NRI-রা

রমেশ বাবু, তিরুবনন্তপুরম

খালি বাড়িতে অতিরিক্ত কর আরোপ করার প্রস্তাব দিয়েছিল সিপিএম পরিচালিত কেরল সরকার। যাদের একাধিক বাড়ি রয়েছে তাদের জন্য়ও এই অতিরিক্ত করের কথা বলা হয়েছিল। তবে এবার কার্যত বিরোধীদের চাপে পড়ে সেই কাজ থেকে পিছু হঠল সরকার। মূলত নন রেসিডেন্ট কমিউনিটি থেকেও এনিয়ে তীব্র আপত্তি তোলা হয়েছিল। তারপরই এই প্রস্তাব প্রত্য়াহার করে সরকার। রাজ্য়ের অর্থমন্ত্রী কে এন বালাগোপাল এমনটাই জানিয়েছেন।

 বাজেট আলোচনায় তিনি জানিয়েছেন, এটা একটা প্রস্তাব ছিল। তা নিয়ে সরকার আগামীদিনে কোনও পদক্ষেপ নেবে এমনটা নয়। তিনি জানিয়েছেন এনিয়ে একাধিক পিটিশন আমরা পেয়েছি। তিনি জানিয়েছেন প্রবাসীদের অবদান আমরা ভুলছি না। তাদের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপাতে চাই না।

এদিকে রিয়েল এস্টেট লবির চাপে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে মন্ত্রী এনিয়ে জানিয়েছেন, এটা সঠিক নয়। অনেক এনআরআই এনিয়ে আমাদের কাছে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। কম আয় করেন এমন ব্যক্তিদের কাছে এটা চাপের হয়ে যেত। সেকারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এনিয়ে আর বেশিদূর এগোন হবে না।

এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন এনআরআইরা। বাহারিনে থাকা কেভি সাজিথ জানিয়েছেন, একটু স্বস্তি পেলাম। খুব খুশি আমরা। সরকার আমাদের সমস্যার ব্যাপারটা বুঝেছে। আসলে মালাবারে তাঁর দুটি বাড়়ি রয়েছে। একটি তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি। অপরটা তিনি নিজে বানিয়েছেন। দুটিই তালাবন্ধ। অপর এনআরআই কুরিয়ান আব্রাহাম জানিয়েছে, সোনার ডিম পাড়ছে যে হাঁস তাকে সরকার মেরে ফেলতে পারে না। আমাদের ব্যাপারটা সরকার বুঝেছে এটাই মঙ্গলের। 

এদিকে হিন্দুস্তান টাইমস এর আগে এনিয়ে খবর করেছিল। একাধিক এনআরআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল হিন্দুস্তান টাইমস। তখনই সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিকে হিসাব বলছে মোট বাড়ির প্রায় ১১ শতাংশ খালি পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে অতিরিক্ত কর আদায় করে সরকার কিছুটা সংকট মেটাতে চেয়েছিল। কিন্তু অবশেষে পিছু হঠল সরকার।

তবে অনেকের মতে, কেরলে এরকম প্রচুর বন্ধ বাড়ি রয়েছে। এগুলি কার্যত ভূতের বাড়ি হয়ে গিয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত কর চাপিয়ে সরকার ভালোই করেছিল। পরিবেশবাদীরাও দাবি করেছিলেন, এভাবে চাষের জমিতেও বাড়ি করা হচছে। কিন্তু সেই বাড়িতে কেউ থাকছেন না। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।