৭০টি বেসিক ট্রেনার বিমান, ৩টি ট্রেনিং জাহাজ কেনার অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা,খরচ কত?

রাহুল সিং

আত্মনির্ভর ভারত। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রেও আত্মনির্ভরতা। আর সেই নিরিখেই এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার ৭০টি দেশীয়ভাবে তৈরি বেসিক ট্রেনার বিমান কেনার ব্যাপারে অনুমোদন করেছে। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য এই বিমান কেনা হবে। এর সঙ্গেই তিনটি ক্যাডেট ট্রেনিং জাহাজও কেনা হবে। এগুলি কেনা হবে ভারতীয় নৌসেনার জন্য। প্রথম প্রকল্পের জন্য  ৬,৮৩৮ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্রকল্পের জন্য  ৩১০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে খরচ ৯৯০০ কোটি টাকা। 

হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা HAL-এর সঙ্গে এই চুক্তি হয়েছে। এই হালেই দেশিয়ভাবে নানা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। এই ট্রেনিং ফ্লাইটগুলির মাধ্যমে সার্বিকভাবে এয়ারফোর্সের পাইলটদের ট্রেনিংয়ের কাজে লাগবে। এদিকে গত ৩০ মাস ধরে ভারত বিদেশ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। হাল আগামী ৬ বছরের মধ্য়ে হিন্দুস্তান টার্বো ট্রেনার ৪০ প্লে সরবরাহ করবে। এগুলি ভারতীয় বায়ু সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। 

প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে এই প্লেনগুলিতে ৫৬ শতাংশ দেশীয় সরঞ্জাম থাকবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এটিকে আরও উন্নত করে ৬০ শতাংশই ভারতীয় সরঞ্জাম থাকবে। গোটা প্রক্রিয়ায় হাল একাধিক ছোট বড় কারখানাকে সংযুক্ত করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৫০০ সরাসরি ৩০০০ পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে। মন্ত্রকের তরফে হিসাবে এমনটাই জানা গিয়েছে। বর্তমানে সুইস প্লেনে এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে ব্রিটিশ প্লেন হকের মাধ্যমে তাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে জুলাই মাসে সুইস প্লেন প্রস্তুতকারক সংস্থা পিলাটাস এয়ারক্রাফট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেয়। এক বছরের সেই চুক্তি বাতিল করা হয়।  ৭৫টি বেসিক প্লেনের ২৯০০ কোটি টাকার চুক্তিতে খেলাপ করা হয়েছিল। সেকারণেই সেই চুক্তি বাতিল করা হয়। 

এয়ার মার্শাল অনিল চোপরা ( অবসরপ্রাপ্ত) ডিরেক্টর জেনারেল সেন্টার ফর এয়ার পাওয়ার স্টাডিজ জানিয়েছেন, এয়ার ফোর্স ৭০ এইচটিটি ৪০কে ট্রেনার প্লেন হিসাবে বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়ার কথা বছর দুয়েক আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই বিমানে এয়ার কন্ডিশনড ককপিট, আধুনিক সরঞ্জাম, হট রিফুয়েলিং সহ নানা ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। 

অন্যদিকে ওই জাহাজগুলি তৈরি হবে তামিলনাড়ুর এল অ্য়ান্ড টির কারখানায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অন্তত  ২২.৫ লাখ কর্মদিবস লাগতে পারে। সাডে় বছর সময় লাগবে এই জাহাজগুলি তৈরি করতে। ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হবে এই ট্রেনিং জাহাজ।