Alzheimer’s Disease: ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কি কম বয়সিদের মধ্যে বেশি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষগুলো নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে। ফলে একটা বয়সে এসে ভুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ভুলে যাওয়া বার্ধক্যের স্বাভাবিক একটি অংশ। কিন্তু এই ভুলে যাওয়ার ব্যাপারটা যদি চলতে থাকে অস্বাভাবিকভাবে, তখনই তা হয়ে ওঠে ভয়ংকর। অ্যালজাইমা রোগীরা অস্বাভাবিক হারে সব কিছু ভুলে যেতে থাকে। চিকিৎসকেরা বলেন শুরুর দিকে অ্যালজাইমার রোগীদের লক্ষণ ধরা পড়ে না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের এই রোগ হয়ে থাকে। কিন্তু চিনা গবেষকরা দাবি করেছেন মাত্র ১৯ বছর বয়সি ছেলের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দিয়েছে। যা ভাবিয়ে তুলেছে বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা মনে করছেন কমবয়সিদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে।

অ্যালজেইমা ও ডিমনেশিয়া রোগীর মধ্যে বয়স ভেদের পার্থক্য রয়েছে। ডিমনেশিয়ার কারণে যে কোনও বয়সে স্মৃতি হারিয়ে যেতে পারে। কেউ ডিমনেশিয়ায় আক্রান্ত হলে অতীতের ঘটনা কিছু মনে রাখতে পারে না।

বিএলকে ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রধান পরিচালক ও এইচওডি নিউরোলজি ডাঃ অতুল প্রসাদ আইএএনএসকে বলেন, ‘জিনের কারণে’ অল্পবয়সিদের মধ্যে সাধারণত হয়ে উঠতে পারে অ্যালজেইমা। তিনি আরও বলেন, এর ফলে লক্ষ করা যায়, কাজ করতে না পারা, হাঁটা চলার সমস্যা।

এতদিন সবচেয়ে কম বয়সিদের মধ্যে ২১ বছরের একজন অ্যালজাইমা রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মনে করা হয় তাঁর এই সমস্যা হয়েছিল জিনগত ত্রুটির কারণে। বিশেজ্ঞরা বলেছেন জিনগত কারণ ছাড়াও বার বার স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে, থাইরডের মতো হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে বা ভিটামিনের অভাবে অ্যালজাইমা দেখা দিতে পারে।

গুরুগ্রামের আর্টেমিস হাসপাতালের নিউরোলজি-র সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডঃ মণীশ মহাজন বলেছেন যে অল্পবয়সি রোগীদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের দ্বারা উপেক্ষা করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন অ্যালজাইমায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে কম বয়সিরা।

নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুম, শরীরচর্চা, মানসিক ব্যায়াম, দাবা , লুডোর মতো গেমগুলি এই রোগ এড়ানোর চাবিকাঠি হতে পারে। চিকিৎসকরা এক্ষেত্রে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাওয়ার যেমন- বাদাম, আখরোট খাবার পরামর্শ দিয়েছেন।