CPI(M) In Backfoot: ছাঁটাই অভিযান বন্ধ রাখল সিপিএম, ঘোষিত কর্মসূচিও কেন বাতিল করল কমরেডরা?

এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সব বুথে প্রার্থী দেওয়াটা এখন লালপার্টির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই দলের মধ্যে বেনো জল এবং নিষ্ক্রিয় কর্মী ছাঁটাই পর্ব এখন আপাতত বন্ধ রাখছে সিপিএম বলে সূত্রের খবর। এখন সংগঠনকে নতুন করে গড়ে তুলতে মাঠে নেমেছে আলিমুদ্দিন। কিন্তু সেখানে বাম নেতাদের ব্যাকফুটে যেতে হল। দলের নিষ্ক্রিয় সদস‌্যদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তরুণ প্রজন্মে প্রাধান‌্য দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে নিষ্ক্রিয়দের দল থেকে সরিয়ে দিলে তা হবে ‘‌সুইসাইডাল স্টেপ’‌ বুঝতে পেরেই সরে এলেন কমরেডরা।

এদিকে কেন্দ্র–রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কলকাতার দুই প্রান্তে দুটো বড় মিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিআইএম কলকাতা জেলা কমিটি। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সেই মিছিল দুটি বাতিল করা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় এবং উত্তর ও মধ্য কলকাতার জন্য সুবোধ মল্লিকের স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত জনবিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে মিছিলের আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের ঘরে যাতায়াত এবং পরীক্ষা পরবর্তী খাতাপত্র স্থানান্তরের জন্য পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজেরাই মিছিল স্থগিত করে দেন।

অন্যদিকে মুজফফর আহমেদ ভবন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সংগঠনকে সম্পূর্ণ সক্রিয় করে তোলা হবে। তা করতে গিয়ে নিষ্ক্রিয়দের তালিকা তৈরি এবং তাঁদের ছাঁটাই–পর্ব শুরু করা হবে। কিন্তু কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাকফুটে গেলেন পক্ককেশধারী সিপিএম নেতারা। দলীয় সূত্রে খবর, ২০১১ সালে সিপিএমের নিষ্ক্রিয় সদস্যের সংখ‌্যা ছিল ১৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে সেটা বেড়ে হয় ১৭ শতাংশ। সেখানে পার্টি সদস‌্যরা থেকে সাধারণ কর্মী সবাই নিষ্ক্রিয় হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে যদি ছাঁটাই অভিযান শুরু করা হয় তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা ভোট দেবেন না। সেক্ষেত্রে বড় চাপ তৈরি হবে। এই কথা ভেবেই ব্যাকফুটে গেলেন কমরেডরা।

কী বলছেন কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক?‌ এই কর্মসূচি বাতিলের কারণ নিয়ে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘‌দুবেলা মাধ্যমিক, সিবিএসই, আইএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এই পরীক্ষা চলার সময় মিছিল করলে ট্রাফিক জ্যামের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কারণে আজকের মিছিলের অনুমোদন পুলিশ প্রশাসন দেয়নি। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যার মধ্যে আমরা ফেলতে চাই না। তাই আজকের মিছিল দুটির কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।