অর্থ ও সদস্য সংগ্রহের জন্যই ভিডিওটি তৈরি করা: র‍্যাব

অর্থ ও সদস্য সংগ্রহের জন্য ভিডিও কনটেন্টটি তৈরি করেছিল জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া। এছাড়া বড় কোনও নাশকতা ঘটিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে জানান দেওয়াও এই ভিডিওর উদ্দেশ্য হতে পারে বলে ধারণা র‍্যাবের। গত ২২ জানুয়ারি অন্য আরেকটি অভিযানে উদ্ধার হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে সেই ভিডিওতে থাকা চার জঙ্গিকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজধানীর কাওরান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আল-আমিন ওরফে মিলদুকের কাছ থেকে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার প্রধান নেতা আমির আনিসুর রহমান মাহমুদ এবং দাওয়াতি শাখার প্রধান আবদুল্লা মাইমুনের সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ বিষয়ক উগ্রবাদী বক্তব্য সংবলিত চাঞ্চল্যকর ভিডিও কনটেন্ট উদ্ধার করা হয়। ভিডিওতে নতুন চার জনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তারা হলেন—শেখ আহমেদ মামুন ওরফে রমেশ, শামীম মিয়া ওরফে বাকলাই ওরফে রাজান, নিজাম উদ্দিন হিরন ও ডাক্তার জহিরুল ইসলাম ওরফে আহাম্মেদ (ভিডিও’র তথ্য অনুযায়ী গত ২০২২ সালের ৬ জুন তারিখে মারা যায়)।

র‍্যাব আরও জানায়, সংগঠনের আমির তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা প্রয়োজনে পাহাড় থেকে সমতলে আত্মগোপনে গিয়ে অবস্থান করতে পারে। সমতলে গিয়ে তাদের আত্মগোপনে থাকতে বলা হয়েছে। সমতলে এসে শুধু কি তাদের আত্মগোপন না অন্য কোনও পরিকল্পনা ছিল সেসব বিষয়ে পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গতকাল যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ৮-৯ জনের একটি গ্রুপ সমতলের উদ্দেশে পাহাড় থেকে বের হয়। বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড় থেকে দীর্ঘ চারদিন হেঁটে গহিন অঞ্চল থেকে বান্দরবান শহরে আসে। ভেঙে ভেঙে তারা চট্টগ্রামের দিকে আসতে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, সংগঠনটির প্রধান নেতা আমির আনিছুর রহমান, অর্থ ও মিডিয়া শাখার প্রধান রাকিব, দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মাইমুনকে গ্রেফতার করতে পারলে ভিডিওটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত জানা গেছে, দুটি ভিডিওতেই ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েস দিয়েছেন আল আমিন ওরফে বাহাই (নারায়ণগঞ্জ থেকে নিখোঁজ রিয়াসাত রায়হান ওরফে আবু বক্করের প্রাইভেট টিউটর) এবং ভিডিও এডিটিং করেছেন পাভেল নামক অপর এক জঙ্গি।

আরও পড়ুন:

আদালত প্রাঙ্গণে সৃষ্টি হয় জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’