রাবাদার গতিতে তিন দিনেই হারলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সিরিজের প্রথম টেস্ট জিততে জার্মেই ব্ল্যাকউড একার চেষ্টায় দীর্ঘক্ষণ লড়ে গেলেন। লক্ষ্য ছিল ২৪৭। তার পরেও সেঞ্চুরিয়নে ভাগ্য বদলাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৫৯ রানে গুটিয়ে গেছে ক্যারিবীয় দল। তাতে তিন দিনেই নিষ্পত্তি হয়েছে এই টেস্ট। ৮৭ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা।

পুরো ম্যাচে পেসারদের দাপট দেখা গেছে। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানে এগিয়ে থাকা প্রোটিয়া দল দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন খেলতে নেমেছিল। ক্যারিবীয় গতি ঝড়ে তারা লাঞ্চের আগেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়েছে। অলআউট হয়েছে ১১৬ রানে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা এইডেন মারক্রাম এই ইনিংসেও সর্বোচ্চ স্কোর ৪৭ রান করেছেন। স্বাগতিক ব্যাটারদের মধ্যে শুধু ডাবল ফিগারে পৌঁছেছেন কাগিসো রাবাদা ও অভিষিক্ত গেরাল্ড কোয়েতজে। তারা নবম উইকেটে ২৯ রান যোগ করেছেন।

পেসার কেমার রোচ ক্যারিবীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে সেরা বোলার ছিলেন। ৪৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

লাঞ্চের আগে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারী দল। আঘাত হানেন রাবাদা।

তার পর রাবাদা, কোয়েতজে ও মার্কো ইয়ানসেনের তোপে ৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে তারা ছিটকে গেছে। ষষ্ঠ উইকেটে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দেখা যায় ব্ল্যাকউড আর জশুয়া ডা সিলভার ব্যাটে। কিন্তু ডা সিলভা ১৭ রানে ফিরতেই পরিণতি প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দুজনে ৫৮ রান যোগ করেছেন। প্রান্ত আগলে ব্ল্যাকউড ৭৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেললেও ম্যাচের গতিপ্রকৃতি পাল্টাতে পারেননি যোগ্য সঙ্গীর অভাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে।    

ক্যারিবীয় ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে বড় অবদান ছিল রাবাদার। ৫০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন। ৩৩ রানে দুটি নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন। একটি করে নিয়েছেন আইনরিখ নর্কিয়া ও গেরাল্ড কোয়েতজে।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৮৬.৩ ওভারে ৩৪২ (মারক্রাম ১১৫, এলগার ৭১; আলজারি ৫/৮১), দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ ওভারে ১১৬ (মারক্রাম ৪৭; রোচ ৫/৪৭)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ২১২ (রেইফার ৬২, ব্ল্যাকউড ৩৭; নর্কিয়া ৫/৩৬), দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ ওভারে ১৫৯ (ব্ল্যাকউড ৭৯; রাবাদা ৬/৫০)

ম্যাচসেরা: এইডেন মারক্রাম।