Hookah bar: আপাতত বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার, ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেল কলকাতা পুরসভা

হুক্কা বার বন্ধ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, আপাতত শহরের হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বহাল রাখে। এনিয়ে কলকাতা পুরসভাকে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে পেপারবুক জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৬ সপ্তাহ পর।

প্রথমে কলকাতা পুরসভা হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল মালিক পক্ষ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি উঠলে বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দেন, যেহেতু হুক্কা বার বন্ধ নিয়ে রাজ্যের কোনও আইন নেই তাই হুক্কা বার চলতে পারে। এই আইন রয়েছে কেন্দ্রে। রাজ্যে হুক্কা বার বন্ধ করতে গেলে নতুন করে আইন প্রণয়ন করে বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার হুক্কা বার বন্ধ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে কলকাতা পুরসভা। শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধের আর্জি জানায় পুরসভা। তবে বুধবার মালিক পক্ষের আইনজীবী মেঘলা দাস জানান, হুক্কা বার বন্ধের কোনও আইন এরাজ্যে নেই। তাই এখানে এভাবে হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না।

উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, হুক্কা বারের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহারের করা হচ্ছে। মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ প্রজন্ম। তাই হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হুক্কা বারে যে কেমিক্যাল দেওয়া হয়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মানুষের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তারপর নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না। পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। এরপরেই শুরু হয় ধরপাকড়।

মালিক পক্ষের দাবি, ২০০৩ সালে ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ মেনে হুক্কা বারগুলি চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও রায় রয়েছে। পুরসভা এভাবে হুক্কা বার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাঁদের দাবি, হুক্কায় ভেষজ তামাক ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই পুরসভা সিদ্ধান্ত বদল না করলে হাজারের বেশি রেস্তরাঁর ব্যবসা মার খাবে। বহু মানুষ কাজ হারাবেন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup