‘মমতার কথাতেই স্পষ্ট, জেলবন্দি কেষ্টকে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করাতে চান তিনি’

অনুব্রতর দিল্লিযাত্রার বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, আসানসোল জেলটাকেই উনি পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বৃহস্পতিবার নবান্নে অনুব্রতকে নিয়ে মমতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে ইডির আবেদনে সম্মতি দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। এর পর মমতা বলেন, ‘ভোটের মুখে ওরা কেষ্টকে দেন দিল্লি নিয়ে যেতে চায়? কারণ পঞ্চায়েত ভোট আসছে। পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে ওরা আরও অনেককে গ্রেফতার করবে যাতে ওরা ভোট দখল করতে পারে। এটাই ওরা করে। এটাই ওদের অভ্যাস। এমনকী ইলেক্ট্রনিক মেশিন নিয়েও আমরা নিশ্চিত নই’।

পালটা রাহুল সিনহা বলেন, ‘জেলে বসেই যে পঞ্চায়েতের কলকাঠি নাড়ছে এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষাতেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। যিনি জেল থেকে কবে বেরোবেন তার কোনও ঠিক নেই পঞ্চায়েত ভোটে তার ভূমিকা কী করে থাকবে? তার মানে জেলটাই যে পার্টি অফিস হয়ে গেছে মমতা ব্যানার্জি সেটা স্বীকার করে নিলেন’।

বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তখন ঠান্ডা ছিল, কষ্ট হত দিল্লিতে। এখন গরম পড়েছে আরামসে থাকতে পারবেন ওখানে। কিন্তু যত রকম পাঁয়তারা সম্ভব হাইকোর্ট – সুপ্রিম কোর্টকে দিয়ে করানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে দিয়ে বীরভূমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওনারা ভেবেছিলেন অনুব্রতকে রেখে তার মাধ্যমে এখানে পঞ্চায়েত ভোটটা করানো হবে। সেটা সম্ভব হয়নি। কোর্ট আদেশ দিয়েছে এবার তো যেতেই হবে তিহাড়ে। এবার পেট থেকে হয়তো অনেক কিছুই বেরোবে’।