২০২০ প্রাথমিক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় একযোগে CBI – ED তদন্তের নির্দেশ অভিজিৎ গাঙ্গুলির

এবার প্রাথমিকে ২০২০ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একযোগে সিবিআই ও ED তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তবে কি বীরভূমে পেটো বাঁধতে পারলে বাড়তি নম্বর পাওয়া যায়? ২০ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি।

মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, আমরা আদালতে প্রমাণ করে দিয়েছি ২০২০ সালের প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কী ভাবে বহু প্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বরের থেকেও বেশি নম্বর পেয়েছেন। এর পর সিবিআই ও ইডিকে এই দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যসহ সেই সময়কার অ্যাডহক কমিটির সমস্ত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছেন তিনি। ২০ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাঁদের।

এদিন আদালতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দেখেন, অযোগ্য প্রার্থীদের বহু জায়গায় বরাদ্দ নম্বরের থেকেও বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গান – বাজনা বা খেলা – ধুলার জন্য বরাদ্দ নম্বর পাননি কেউ। তখন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, তাহলে কি বীরভূমে পেটো বাঁধলে এই বিভাগে নম্বর পাওয়া যেত?

২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।