Bomb Recovered: সুন্দরবন ও বীরভূমে বিপুল পরিমাণ বোমা–অস্ত্র উদ্ধার, আতঙ্কে ভুগছেন গ্রামবাসীরা

বীরভূমে বোমা–অস্ত্র উদ্ধার লেগেই আছে। একদিন আগেই তিন ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করেছিল জেলা পুলিশ। এবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে আবার উদ্ধার করা হল অস্ত্র–বোমা–ব্রাউন সুগার। বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকায় বলাইচণ্ডী এবং সিজা গ্রাম থেকে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১০০টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর সাঁইথিয়ার বহরাপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির অদূরে বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করে পুলিশ। সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় একজন ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ দুটি মাস্কেট, দুটি ওয়ান সাটার বন্দুক এবং ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বীরভূমের সদয়পুর থানা এলাকা থেকে ব্রাউন সুগার–সহ দু’‌জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে বীরভূমের বগটুই কাণ্ড এখনও মানুষ ভুলতে পারেননি। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই টানা তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। আর বীরভূম থেকে বোমা–গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণে। তাতে উদ্বিগ্ন হয়েছিল জেলা প্রশাসনও। পাড়ার অলিগলির মধ্যে থাকা একাধিক বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

অন্যদিকে আবার সেই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই বিপুল পরিমাণ বোমা–অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে পুলিশ অফিসারদের। তবে শুধু বীরভূমে বিষয়টি সীমাবদ্ধ নেই। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবনেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলায় বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। এদিন রাতে ঢোলাহাট থানার আবাদভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভগবানপুরের কাছে ফাঁকা মাঠে প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি অবস্থায় বোমাগুলি পড়ে ছিল। যা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আজ, শুক্রবার বম্ব স্কোয়াড এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করবে। তবে কে বা কারা এই বিপুল পরিমাণ বোমাগুলি মজুত করেছিল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এসবের পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, ‘‌এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। এলাকায় বেআইনি কাজ করলে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ ঠিক করে কাজ করছে বলেই আজ এলাকায় সুশাসন রয়েছে।’‌