Malda Medical College and Hospital: জ্বর নিয়ে প্রতিদিন ভরতি হচ্ছে বহু শিশু, মালদা মেডিক্যালে বেড পেতে হয়রানি

করোনা ভাইরাসের পর রাজ্য জুড়ে নতুন আতঙ্ক হল অ্যাডিনো ভাইরাস। প্রতিদিন এই ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে বহু শিশু। ইতিমধ্যেই অসংখ্য শিশু হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। উত্তরবঙ্গে এই ভাইরাসের প্রকোপ সেভাবে দেখা না দিলেও দক্ষিণবঙ্গে মারাত্মক আকার নিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। এই রোগের বারবাড়ন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের মোকাবেলায় সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের মতো মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালও সেই মর্মে প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে সেখানে পর্যাপ্ত বেড না থাকায় চরম সমস্যায় পড়ছেন শিশুর অভিভাবকরা।

এখনও পর্যন্ত মালদা জেলায় অ্যাডিনো ভাইরাসে কোনও শিশু আক্রান্ত না হলেও জ্বর, সর্দি কাশি উপসর্গ নিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু শিশু। তবে ভরতি থাকা শিশুর আত্মীয়দের অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে পরিষেবা ভালো না হওয়ায় চিকিৎসকরা রেফার করে দিচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপরেও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হতে গিয়ে তাদের হয়রানি হতে হচ্ছে । চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হচ্ছে। এছাড়াও, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল বেডের সমস্যা রয়েছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা জানান, ‘জ্বর ,সর্দি , কাশি উপসর্গ নিয়ে অনেককেই বিশেষ করে শিশুরা ভরতি হচ্ছে । তবে এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য দফতরের যা নির্দেশিকা রয়েছে সেই নির্দেশিকা মেনেই আমরা সবকিছু করছি। প্রতিদিনই প্রায় ৮ থেকে ১২ জন শিশু ভরতি হচ্ছে। পরীক্ষা বাড়ানো হচ্ছে।’

অন্যদিকে, এনিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। তিনি বলেন, ‘করোনার সময় রাজ্য সরকার যেভাবে সঠিক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে সামনে আনেনি ঠিক তেমনিভাবেই অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়েও সঠিক তথ্য জানাচ্ছে না। অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা চাই স্বাস্থ্য দফতর সঠিক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে আসুক।’

এনিয়ে পালটা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে যেভাবে আমাদের রাজ্য সরকার দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেছে তা অভূতপূর্ব। আমাদের মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এসএনসিইউ, পিকুর ব্যবস্থা রয়েছে। শিশুরা ভালোভাবে চিকিৎসা পাচ্ছে। বিরোধীরা এর আগে করোনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন। এখন অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়েও রাজনীতি করছেন। আমাদের প্রশ্ন মৃত্যুমুখী মানুষদেরকে নিয়ে কেন বিরোধীরা রাজনীতি করছেন। রাজনীতি করার আরও বহু জায়গা রয়েছে।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup