Viral news man rescued from Amazon: কেঁচো আর পোকা খেয়েই কেটেছে ৩১ দিন! আমাজনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ব্যক্তি

আমাজনের জঙ্গল মানেই পর্যটকদের কাছে এক দুর্দান্ত আকর্ষণ। অ্যাডভেঞ্চার করতে যারা ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে আমাজন বিস্ময়ের খনি। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে আমাজন ঘোরা এক বড় স্বপ্ন। কিন্তু একইসঙ্গে আমাজনের জঙ্গল বেশ ভয়ঙ্কর। এর মধ্যে রয়েছে বহু প্রজাতির প্রাণী‌। যার অনেকেই বেশ হিংস্র। শুধু তাই নয়, আমাজনে সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া ঘুরলে প্রাণসংশয় হতে পারে যেকোনও সময়‌। অর্থাৎ একদিকে যেমন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, অন্যদিকে পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি।

আরও পড়ুন: ৪০ মিনিটেই খেয়ে নিল একটা চোখ, মারাত্মক এই অ্যামিবা সম্পর্কে কী বলছেন চিকিৎসকরা

আরও পড়ুন: কলকাতাতেই তুমুল লড়াই দুই কুমিরের, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল! দেখুন এখানে

সম্প্রতি এক পর্যটকের সঙ্গে তেমন দুর্ঘটনাই ঘটে। কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে তিনি আমাজনের গভীর জঙ্গলে গিয়েছিলেন । সেখানেই হঠাৎ করে দলছুট হয়ে পড়েন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বন্ধুদের হদিশ পাননি। শেষ পর্যন্ত ৩১ দিন মৃত্যুর থেকে পালিয়ে বেড়িয়ে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। আমাজনের জঙ্গল থেকে বেরোনোর পরে সেই মারাত্মক অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: মন কাড়তে দারুণ পটু এই রাশির মেয়েরা, প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েন বেশিরভাগ পুরুষ

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বসেরা ঝাল’ ওমলেট বানাতে চান? রিল দেখলেই জল আসবে চোখে

জোনাত্তন আকোস্তা নামের ওই ব্যক্তি আদতে বলিভিয়ার বাসিন্দা। বছর তিরিশের জোনাত্তন বন্ধুদের সঙ্গে আমাজনের গভীর অরণ্যে অ্যাডভেঞ্চারে গিয়েছিলেন। সেখানেই উত্তর বলিভিয়ার একটি অঞ্চলে বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। এরপর ৩১ দিন ধরে ওই বিশাল জঙ্গলের মধ্যেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছেন জোনাত্তন। কোন রসদ ছিল না সঙ্গে। কীসের উপর ভরসা করে বেঁচে ছিলেন তিনি? সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জোনাত্তন জানান, কেঁচো খেয়েই দিন কাটত তাঁর। একইসঙ্গে বর্ষার জল খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতেন। এছাড়াও নিজেকে সবরকমভাবে হিংস্র জাগুয়ার ও পিকারের (শূকরজাতীয় প্রাণী) থেকে লুকিয়ে রাখতেন। বিবিসি কে তিনি বলেন, এই সময় বেঁচে থাকার জন্য শুধু কেঁচো নয়, পোকামাকড়ও খেয়েছেন তিনি।

জোনাত্তন নিখোঁজ হওয়ার পরেই তাঁর খোঁজ শুরু করে পরিবার। পরিবারের আবেদন মতো একটি অনুসন্ধানকারী দল জোনাত্তনকে আমাজনের জঙ্গলে খুঁজতে শুরু করে। সেখানেই ৩১ দিন পর তাঁর দেখা মেলে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দলটির দিকে এগিয়ে তাঁকে আসতে দেখা যায়। দেখা যায়, এক পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে গিয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, এক মাসে তাঁর ওজনও কমে গিয়েছে অবিশ্বাস্য গতিতে। মাত্র ৩১ দিনে ১৭ কেজি ওজন কমে গিয়েছে তাঁর। যা যেকোনও মুহূর্তে বড় বিপদের কারণ হতে পারত।‌ তবে শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচেই ফিরেছেন জোনাত্তন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup