টেকনাফে দুই ভাইকে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় দুই ভাই অপহরণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বাহারছড়ার মারিশবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে অপহৃতদের পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে অপহরণকারীরা।

অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা হলো বাহারছড়ার মারিশবনিয়া পাড়ার প্রবাসী হোসেন আলীর ছেলে মো. সালমান (৪) ও মো. আলীর ছেলে ওবায়দুল্লাহ (১৫)। দুই শিশু সম্পর্কে চাচাতো ভাই। 

দুই শিশুর মামাতো ভাই হামিদ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে বাহারছড়া বাজারে চুল কাটার কথা বলে ঘর থেকে বের হয় সালমান ও ওবায়দুল্লাহ। সেলুনে মানুষের ভিড় থাকায় চুল না কেটে বাড়ি ফিরছিল। মারিশবনিয়ার মাদ্রাসার সামনে এলে তাদের ধরে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। দুই ঘণ্টা পর ওবায়দুল্লাহর ফোন নম্বর থেকে তার মাকে কল করে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। আমাদের ধারণা, অপহরণকারীরা পাহাড়ি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ। এর আগেও এখানের কয়েকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চেয়েছিল তারা। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি আমরা।’

অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘রাস্তা থেকে সন্ধ্যায় সিএনজি অটোরিকশায় করে দুজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’

এ বিষয়ে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, অপহরণের খবর শুনে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। এখনও তাদের ফেরত পাওয়া যায়নি৷ 

জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মুক্তিপণের বিষয়টি অপহরণের শিকার দুই শিশু-কিশোরের স্বজনদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছি।’

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন। একইভাবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়।

এসব অপহরণের ঘটনায় পাহাড়ি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ প্রশাসনের।