ফিসচুলা থেকে রক্তপাত বন্ধ হয়েছে, জেলে থেকে ২ সপ্তাহে অনুব্রতর ওজন বেড়েছে ৪ কেজি

দিল্লিযাত্রা রুখতে হাইকোর্টে তাঁর অসুস্থতাকে শিখণ্ডি করার চেষ্টা করছেন আইনজীবীরা। ওদিকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন অনুব্রতর তেমন কোনও শারীরিক সমস্যাই নেই। দিব্যি আছেন তিনি। বরং ২ সপ্তাহে ৪ কিলোগ্রাম ওজন বেড়েছে তাঁর।

শুক্রবার আসানসোল আদালতে শুনানির সময় অনুব্রত জানান, তাঁর ফিসচুলা ফেটে গিয়েছে। রক্তপাত হচ্ছে। প্রচণ্ড কষ্টে আছেন তিনি। এর পর অনুব্রতকে জেল হাসপাতালে নিয়ে যায় জেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে জেল হাসপাতাল থেকে অনুব্রতকে আনা হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে মেডিক্যাল টিম। এর পর হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের হৃদগতি ৮২ প্রতি মিনিট। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬ শতাংশ। রক্তচাপ ১০৬/৮০। অনুব্রত মণ্ডলের ওজন ৯৫ কিলোগ্রাম। গত ২০ ফেব্রুয়ারি শারীরিক পরীক্ষার সময় অনুব্রতর ওজন ছিল ৯১ কিলোগ্রাম। অর্থাৎ ২ সপ্তাহে জেলে থেকে কেষ্টর ওজন বেড়েছে ৪ কিলোগ্রাম। হাসপাতালের তরফে আরও জানানো হয়েছে, অনুব্রতর ফিসচুলা থেকে আর রক্তপাত হচ্ছে না। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাই তাঁকে আর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

শনিবার অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা রোধে কলকাতা হাইরকোর্টে দায়ের আবেদনে মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। আদালতে ইডি জানিয়েছে অনুব্রত অসুস্থ নন, দরকারে এয়ার অ্যাম্বুলান্সে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় তারা। অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা নিয়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের এই মন্তব্যের পর তাঁর দিল্লিযাত্রা অনিবার্য হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অনেকে। সেই মামলার শুনানি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সবার নজর রায়ের দিকে।