বেসিসের সাবেক সভাপতি আলমাসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মেট্রোনেটের মাত্র দুই শতাংশ মালিক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের বিরুদ্ধে নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর ফলে দেশের জরুরি তথ্যসেবা ৯৯৯, সব ব্যাংকসহ বহু প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রবিবার (৫ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মেট্রোনেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম।

মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বরের পর থেকে বর্তমান বোর্ড কোম্পানির প্রতিদিনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সৈয়দ আলমাস কবির ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৮ ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেন বন্ধের জন্য বেআইনিভাবে চিঠি প্রদান করে চলেছেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন ব্যাংকসহ গ্রাহকদের বিল পরিশোধ না করার জন্য চিঠি দেন। কোম্পানি বিরোধী কার্যকলাপের কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদধারী সৈয়দ আলমাস করিবকে কোম্পানির বিপক্ষে অসাধু কার্যকলাপ এবং ধারাবাহিকভাবে তিনটির বেশি বোর্ড মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

তার দাবি, মেট্রোনেটের শেয়ার হোল্ডার প্রতিষ্ঠান রহিমা আফরোজ ও সৈয়দ আলমাস কবির যোগসাজশে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মেট্রোনেট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রায় আট কোটি টাকার শেয়ার কেনার নামে সরিয়ে নিয়েছে। অবৈধভাবে কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা তুলে নেওয়াতে শিগগির তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম আরও দাবি করেন, বাংলাদেশের বৃহত্তম ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এর সেবা বন্ধ হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে সারাদেশের ইন্টারনেট সেবা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেরদৌস আজম খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহাত খান প্রমুখ।