শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন বদরুল আহসান

প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীরের সংগ্রামী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই অ্যাওয়ার্ড পেলেন লেখক ও সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান।

শনিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। দেশের বাইরে থাকায় সৈয়দ বদরুল আহসানের পক্ষে এই সম্মাননা নেন তার ছোট ভাই ও বোন। জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এই অ্যাওয়ার্ড দেন। এর মধ্য দিয়ে প্রতি বছর দেশের একজন বরেণ্য ব্যক্তিকে ‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এ সম্মানিত করা হবে বলে জানান বিজেসি’র নেতারা।

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, সাংবাদিকতার জীবনে সততা, নিষ্ঠা থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সব সময় আমি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সাংবাদিকদের যে সংকট চলছে তা সবাই মিলে যেন তা দূর করা যায় সেই আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্মৃতিচারণ করে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকতাকে একাডেমিকে রূপ দিয়েছিলেন শাহ আলমগীর। মানব কল্যাণে নিয়োজিত যে পেশা, সেটি সাংবাদিকতা। তার দিকপাল ছিলেন প্রয়াত শাহ আলমগীর। ওনার মতো মানুষ মারা গেলে সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের ক্ষতি হয়। এই অ্যাওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে শাহ আলমগীর সাংবাদিকদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

উল্লেখ্য, পুরস্কার পাওয়া সৈয়দ বদরুল আহসানের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানের কোয়েটার সেন্ট ফ্রান্সিস গ্রামার স্কুল থেকে পড়াশুনা শুরু করেন। এরপর নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেন তিনি। সৈয়দ বদরুল আহসান একাধারে শিক্ষক ও সাংবাদিক। দ্য নিউ ন্যাশন, বাংলাদেশ অবজারভার, দ্য মর্নিং সান, নিউজ টুডে, নিউ এজ, সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ার, দ্য ডেইলি স্টার, ডেইলি অবজারভার, এশিয়ান এজ পত্রিকায় বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন তিনি। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ও মিডিয়া কোর্সে শিক্ষক ছিলেন। বিদ্রোহী থেকে প্রতিষ্ঠাতা: শেখ মুজিবুর রহমান, গৌরব ও হতাশা : তাজউদ্দীন আহমদের রাজনীতিসহ লিখেছেন অনেক ইতিহাস আশ্রিত প্রকাশনা। বর্তমানে তিনি ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, রাজনীতি ও কূটনীতিক ভাষ্যকার।

বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালন করেন রাশেদ আহমেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন, সংগঠনের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।