Adenovirus: অ্য়াডিনো মোকাবিলায় বেড বাড়াচ্ছে সরকার, গরম বাড়লে কি কমবে?

অ্য়াডিনো ভীতি একেবারে মাত্রাছাড়া। একের পর এক মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে। একের পর এক শিশুর মৃত্যু। অভিভাবকদের দাবি আইসিইউ মিলছে না। বিসি রায় হাসপাতালে একের পর এক শিশুর মৃত্যু। তবে সেই পরিস্থিতিতে এবার শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আশার কথা শুনিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২৫০০এর বেশি সিক নাটাল কেয়ার ইউনিট বেড রাখা হয়েছে। ৬৫৪টি পেডিয়াট্রিক আইসিইউর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১২০টি নিও নাটাল কেয়ার ইউনিট(NICU) ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়াও অতিরিক্ত ৭৫টি পিকু বেডের ব্যবস্থা থাকছে বিসি রায় হাসপাতালে। এর সঙ্গেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিসি রায় হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদের রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

এদিকে অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক যেন জাঁকিয়ে বসছে গোটা বাংলা জুড়ে। কলকাতার একাধিক হাসপাতাল চত্বর সন্তানহারা বাবা মায়ের কান্নায় ভারী হচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি। একের পর এক অসুস্থ শিশুকে ভর্তি করা হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকদের একাংশের মতে লক্ষণগুলির উপর নজর রাখা দরকার। বাড়াবাড়ি যাতে না হয় সেটা দেখা দরকার। 

তবে চিকিৎসকদের একাংশের মতে, গরম একটু বাড়লে সমস্যা কমতে পারে। তবে শিশুদের অসুস্থতা বাড়ছে কি না সেটা খেয়াল করা দরকার। অন্যদিকে কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আশার কথা গরম বাড়ছে। এর জেরে অ্য়াডিনো ভাইরাসের সমস্যা কিছুটা কমছে। 

তবে হাসপাতালে হাসপাতালে অবশ্য় ভয়াবহ ছবি। জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। অসুস্থ শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছেন অভিভাবকরা। তাঁদের চোখে মুখে উদ্বেগ। একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন, আইসিইউতে রাখতে পারলে সন্তানের এতটা সমস্যা হত না। কিন্তু সেটাই করা গেল না। 

এদিকে রবিবার বিসি রায় হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক বন্ধ থাকাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ ছড়ায়। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কী বলছেন শিশু চিকিৎসকরা? 

এক শিশু চিকিৎসক জানিয়েছেন, ডায়ারিয়া আর পাকস্থলীতে নানা সমস্যার ব্য়াপারটিও অ্যাডিনোভাইরাসের লক্ষণ। কিন্তু অনেকেই এটা বুঝতে পারছেন না। সেকারণে বাড়ির ছোট্ট শিশুর পেটের সমস্য়া হলেও সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখছেন অভিভাবকরা। এটা একেবারেই ঠিক হচ্ছে না। এরপর শিশুর শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে। তখন অবস্থা যখন গুরুতর হচ্ছে তখন তাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসছেন বাড়ির লোকজন। সেই শিশুকে ভেন্টিলেশনে রাখা একান্ত দরকার।