IPC 494: ডিভোর্স না দিয়েই আবার বিয়ে! জনস্বার্থ মামলার জের, জবাব চাইল আদালত

এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ আইপিসি ৪৯৪ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। হিন্দু পার্সোনাল ল বোর্ড এই পিটিশনটি ফাইল করেছিল। তারা দাবি করেছেন, ইন্ডিয়ান পেনাল কোড ৪৯৪ ধারাকে অসাংবিধানিক হিসাবে ঘোষণা করার ব্যাপারে এই আবেদন করা হয়েছে। কারণ তাদের দাবি ধর্মের নিরিখে এটি মানুষে মানুষে বিভেদ করে দিচ্ছে।  এবার জেনে নেওয়া যাক গোটা বিষয়টি আসলে কী?

আসলে ৪৯৪ ধারাকে কেন্দ্র করে যাবতীয় বিষয়ের সূত্রপাত। কী রয়েছে এই ৪৯৪ ধারার মধ্যে? 

৪৯৪ ধারা অনুসারে কোনও ব্যক্তি যদি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন, প্রথম স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স না করেই যদি এটা করা হয় তবে  দ্বিতীয় বিয়েটি অকার্যকর হবে। এই অপরাধের জেরে সাত বছরের জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। এই আইনটি মুসলিম ছাড়া হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টানদের উপর প্রযোজ্য হয়। এদিকে মুসলিম পার্সোনাল ল বা শরিয়তি আইন অবশ্য় বলছে অন্য কথা। সেই শরিয়তি আইন অনুসারে কোনও মুসলিম চারবার পর্যন্ত বিয়ে করতে পারেন। 

বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার উপাধ্যায় ও বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এবার এই জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত হিন্দু পার্সোনাল ল বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারি পবন কুমার দাস শাস্ত্রী এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

আদালত জানিয়েছে, এই জনস্বার্থ মামলায় মুসলিম শরিয়তি আইন ১৯৩৭কে চ্য়ালেঞ্জ করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে  ৪৯৪ আইপিসিকে নিয়মবিরুদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে জবাব চেয়ে নোটিশ ইস্যু করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলা হয়েছে। 

আদালত জবাব দেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের জবাবের পরে দু সপ্তাহের মধ্যে হিন্দু পার্সোনাল ল বোর্ডকে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আট সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

অ্য়াডভোকেট অশোক পান্ডে জানিয়েছেন, আইপিসি ৪৯৪ ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ তৈরি করছে। সেক্ষেত্রে এটা বাতিল করা দরকার। প্রসঙ্গত ইন্ডিয়ান ট্রাস্ট অ্যাক্ট অনুসারে হিন্দু পার্সোনাল ল-কে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল হিন্দু পার্সোনাল ল- বোর্ড।