PM Awas Yojona: আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়নি, চিঠি পাঠিয়ে জানাল কেন্দ্র, মুখ পুড়ল বঙ্গ–বিজেপির

বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ দিলীপ ঘোষ–সহ একাধিক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বারবার দাবি তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি খুঁজতে নয়াদিল্লি থেকে বাংলায় উড়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল। ‘হতাশ’ হয়েই ফিরতে হয়েছে তাঁদের। কারণ ছোটখাট কিছু অনিয়ম বা পদ্ধতিগত ত্রুটি ছাড়া তেমন কোনও দুর্নীতির হদিশ তাঁরা পাননি। যা তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কোণঠাসা করা যায়। এমনকী এই অভিযোগ তুলে আবাস যোজনার টাকাও আটকে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল, প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে কেউ ঘুষ বা কাটমানি চেয়েছিলেন, এমন কোনও অভিযোগ কোথাও পাওয়া যায়নি।

এই চিঠি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে লিখেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব। এই চিঠির পর কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর ‘রাজনীতি’ কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মুখ পুড়ল বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের। মুখে দুর্নীতির কথা বলা হলেও আসলে রাজ্যকে আবাস যোজনার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত রাখতেই এসব লোক দেখানো পদক্ষেপ বলে মনে করছে নবান্নের কর্তারা। কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল কয়েকটি জেলায় ঘুরেছে। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়েও দেখেছে। কেন্দ্রীয় সদস্যরা সরাসরি কথা বলেছেন প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে। তারপর তাঁদের পেশ করা রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এই চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব।

এদিকে চিঠিতে সাতটি জেলার কথা বলা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রে পরিদর্শক দলের মনে হয়েছে, প্রায় সব বাড়ির অনুমোদন, বা তা বাতিলের প্রক্রিয়া হয়েছে নিয়ম মেনেই। অভিযোগ ছিল, বাড়িটি নাকি আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় টিম ওই নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে কোনও বাড়ি দেখতে পায়নি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার লোগো প্রায় সব জায়গায় সঠিকভাবে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মালদার কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকে ১৩টি বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। রাজ্য নিজেই ১১টি অনুমোদন বাতিল করেছে। এবার কি তাহলে প্রাপ্য মিলবে?‌ প্রাপ্য পেতে রাজ্য পাল্টা কড়া চিঠি দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে।

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে ভালভাবে সমীক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পরিদর্শকরা। দার্জিলিংয়ে আবাস যোজনার লোগো লাগানো হয়নি। নদিয়ায় লোগো সহ আনুষঙ্গিক তথ্য বাড়িগুলিতে সঠিকভাবে সাঁটা নেই। এমন কিছু অভিযোগ রয়েছে। যা খুব সামান্যই। পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে কেন্দ্রীয় টিম জানিয়েছে, বাড়ি অনুমোদনের নামে ঘুষ চায়নি কেউ। তবে এই চিঠি এখন নবান্নের হাতে আসায় বিজেপি নেতাদের মুখ পুড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। যা প্রভাব ফেলবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।