Tourism: পর্যটনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলার,মোদীর কথা বলে টুইট রাজ্যপালের

পর্যটন বড় স্বীকৃতি পাচ্ছে বাংলা। আর সেই স্বীকৃতির পুরস্কার আনতে বার্লিন যাচ্ছেন রাজ্য়ের পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তবে বাংলার এই স্বীকৃতিকে ঘিরে ফের প্রশংসা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা তুলে আনেন। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় বলেছিলেন ভারত হেরিটেজ টুরিজমের হাব হবে। এই জাতীয় প্রতিশ্রুতিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে তা উন্মোচিত হয়েছে। বেস্ট ডেস্টিনেশন ফর কালচার বিভাগে পুরস্কার জেতা অত্য়ন্ত গর্বের। ২০২৩ সালের ৯ মার্চ ওয়ার্ল্ড টুরিজম অ্য়ান্ড অ্য়াভিয়েশন লিডার্স সামিট হবে বার্লিনে। সেখানেই এই সম্মান দেওয়া হবে। তিনি লিখেছেন, পর্যটন প্রসারে পারস্পরিক সহযোগিতার এক ব্রিলিয়ান্ট চ্যাপটার।

অনেকের মতে, পর্যটন ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বড় স্বীকৃতি। যে বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো, সেই বাংলারই সাংস্কৃতিক পর্যটনকে বিরাট গুরুত্ব দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এটা রাজ্য সরকারের কাছে গর্বের। এটা গোটা দেশের কাছে গর্বের।

 

 

এদিকে এর আগে রাজ্যপালের প্রধান সচিব ছিলেন নন্দিন চক্রবর্তী। তবে পরবর্তীতে তিনি ফের পর্যটন দফতরের সচিবের দায়িত্ব পান। তবে তার আগে নন্দিনী চক্রবর্তীকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরে অবশ্য় সেই জল বেশিদূর গড়ায়নি। তবে এবার সেই নন্দিনী চক্রবর্তী রাজ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত পুরস্কার নিতে বিদেশ যেতে পারেন। অন্যদিকে রাজ্যের এই স্বীকৃতিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল।

পাহাড় থেকে সাগর, দার্জিলিং থেকে দিঘা বাংলা জুড়ে ছড়ানো পর্যটনের নানা ক্ষেত্র। তবে তার থেকেও বড় কথা বাংলার পর্যটনের একটি ভিন্ন ব্যাপার রয়েছে। বাংলার পর্যটনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সেই অঞ্চলের সংস্কৃতির বিষয়টিও। এটা পর্যটনের সঙ্গেই যুক্ত। সেই সাংস্কৃতিক পর্যটনও এবার স্বীকৃতি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে এনিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল । ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তিনি একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা উল্লেখ করলেন। অন্য়দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, Cooperative Federalism in Tourism Promotion। অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি একথা উল্লেখ করেছেন। এমনকী কলকাতায় এসে প্রধানমন্ত্রী পর্যটনের প্রসার, পর্যটনের সম্ভাবনা নিয়ে ঠিক কী বার্তা দিয়েছিলেন সেটাও তিনি জানিয়েছেন। 

তবে একদিকে পর্যটন ক্ষেত্রে বাংলার বিরাট স্বীকৃতি ও অন্য়দিকে এনিয়ে রাজ্যপালের টুইট দুটোই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।