Video: ফালতু গার্ড, পেছন ফিরে দেখতে দিল না, পরীক্ষার পর রাগে ফুঁসছে ছাত্রীরা

কড়া গার্ড পড়েছিল পরীক্ষায়। একেবারে ঘাড় ঘোরাতে দেয়নি। আর তার জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে রাগে, দুঃখে ফেটে পড়লেন ছাত্রীরা। তার সঙ্গে চোখও ছলছল করছে কয়েকজনের। কেঁদে ফেলারও উপক্রম। মূল রাগ একটাই, পরীক্ষায় কেন অন্যের খাতা দেখে লিখতে দেবে না? কেন পরীক্ষায় টুকতে দেবে না? কেন এত কড়া গার্ড? এমনকী তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ভিডিয়োতে কয়েকজন অভিভাবককেও দেখা গিয়েছে ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে।

একেবারে শিউরে ওঠা ভিডিয়ো। সম্ভবত মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এসেই ছাত্রীরা পরীক্ষার হলে কড়া নজরদারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। কোন জায়গার ভিডিয়ো সেটাও পরিষ্কার নয়। ঠিক কী দেখা গিয়েছে সেই ভিডিয়োতে? 

 


ভিডিয়োতে ছাত্রীরা বলছেন, আমরা কালীবাড়ি স্কুলের ছাত্রী। অন্যত্র তাদের সিট পড়েছিল। ক্য়ামেরার সামনে কড়া গার্ডের বিরুদ্ধে একেবারে খড়্গহস্ত হল ছাত্রীরা। তাদের স্পষ্ট কথা, একেবারে ফালতু গার্ড দিয়েছে। পেছন ফিরে দেখতে দিচ্ছে না।

এদিকে পরীক্ষার্থীদের এই কাণ্ডকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সামনে এনেছেন সায়ন সেনগুপ্ত নামে এক নেট নাগরিক। তিনি ক্যাপশানে লিখেছেন, আমরা কি দেখবনা, দেখব না আমরা।আমরা কি টুকব না। টুকব না আমরা। সেই সঙ্গেই তিনি লিখেছেন, কেন আমরা দেখব না আমরা তো সারাবছর পড়ি আর এটাই শিখি কীভাবে টুকতে হয়। তাহলে টুকতে দেবে না কেন, জবাব চাই।

সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একজন ছাত্রী ছলছল চোখে বলছে,

এই পরীক্ষাতে ফালতু গার্ড দিয়েছে। কোয়েশ্চেন এতগুলো অ্য়াটেন করতে পারছি না। তার মধ্য়ে গার্ড যে একটু লুজ করবে সেটাও নয়। একেবারে পেছন ফিরে দেখতে দিচ্ছে না।

অপর ছাত্রী বলে, একটু পেছন ফিরে দেখতে গেলাম বলছে একেবারে পেছনে বেঞ্চে চলে যাও।

অপর ছাত্রী জানিয়েছে, বলছে পাশের জনের কেন দেখছ। বলছে দূরে সরে বসো। কেন আমরা দেখব না। কিছু বললেই বলছে.. খাতা কেড়ে নেব। এত কড়া গার্ড, এত কড়া গার্ড!

পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন অন্য়ের খাতা দেখতে দেওয়া হয়নি তা নিয়েই রাগ। এদিকে এই ভিডিয়ো দেখে এক নেট নাগরিক লিখেছেন, কারা হতে চলেছে দেশের ভবিষ্যৎ। অপরজন লিখেছেন জিও ওয়েস্ট বেঙ্গল।

এদিকে এই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকে।কেন পরীক্ষার হলে দেখতে দেওয়া হল না, ছাত্রীদের এই দাবির পাশে যেভাবে অভিভাবকরাও ছিলেন তা আরও উদ্বেগজনক। তবে কি বাস্তবেই বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার এই বেহাল দশা? পরীক্ষার হলে টোকাটুকি করা এটাও কি অধিকারেরর মধ্য়ে পড়ে?