Viral news: প্রেমিকার বয়স ৮০০, এক বাড়িতে কেটেছে ২৬ বছর, পুলিশ পৌঁছে দেখল জলজ্যান্ত হরর

৩০ বছর ধরে প্রেম করেছেন তার সঙ্গে। সেই প্রেমিকাকে নিয়েই অনবরত প্রশ্ন করে যাচ্ছে পুলিশ! কাঁহাতক এই জেরা সহ্য করা যায়? তবে পুলিশেরই বা দোষ কী! প্রেমিকার রূপ দেখে রীতিমতো ধন্দে পড়ে গিয়েছে পুলিশমহল। প্রেমিককে জিজ্ঞেস করলে সে খালি বলে, ইনি আমার গার্লফ্রেন্ড। সঙ্গে সঙ্গে আরেক দফা পুলিশের ধাতানি! কঙ্কাল তোমার গার্লফ্রেন্ড! ইয়ার্কি! জেরায় জেরায় আসল কথা স্বীকার করে সেই প্রেমিক। জানাল যতই কঙ্কাল হোক, এটি নাকি ওর ‘আধ্যাত্মিক’ গার্লফ্রেন্ড। শুনে পুলিশের চোখমুখ হাঁ। আপনারও নিশ্চয়ই! সম্প্রতি পেরুতে এমনই এক প্রেমিকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে পুলিশের মন ওই ‘আধ্যাত্মিক’তায় ভেজেনি। জেরা এখনও জারি রয়েছে আরও তথ্যের জন্য।

আরও পড়ুন: কলকাতাতেই তুমুল লড়াই দুই কুমিরের, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল! দেখুন এখানে

আরও পড়ুন: তিন ঘণ্টা থেমে রইল হার্ট! তার পরেও বেঁচে উঠল ২০ মাসের খুদে, কোন ম্যাজিকে

সম্প্রতি পেরুতে খাবার ডেলিভারি যুবকের মুখে এমন কথাই শোনা গিয়েছে। আসলে তার ব্যাগের মধ্যে পাওয়া যায় একটি কঙ্কাল। সদ্য মৃত কারও কঙ্কাল কিন্তু সেটি নয়। বরং বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে জানিয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ বছর পুরনো ওই কঙ্কাল। জেরায় ওই যুবকটি জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে ঘর করছেন কঙ্কালটির সঙ্গে। এই দিকে তার বয়স মাত্র ২৬ বছর! অর্থাৎ জন্মান্তরের প্রেমিকা বললেও ভুল বলা হয় না। সংবাদমাধ্যম এএফপিকে পেরুর এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ২৬ বছরের জুলিও সিজার বারমোজো এখন পুলিশি হেফাজতেই রয়েছে। তদন্তকারীরা তাঁর ‘প্রেমজীবন’ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: কেঁচো আর পোকা খেয়েই কেটেছে ৩১ দিন! আমাজনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ব্যক্তি

আরও পড়ুন: ৪০ মিনিটেই খেয়ে নিল একটা চোখ, মারাত্মক এই অ্যামিবা সম্পর্কে কী বলছেন চিকিৎসকরা

এটিই নাকি তার প্রেমিকা

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে নিজের প্রেমিকার নাম জানিয়েছে বারমোজো। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর মিডিয়াকে জানায়, তার প্রেমিকার নাম ‘জুয়ানিতা’। কঙ্কালটি তার ‘আধ্যাত্মিক গার্লফ্রেন্ডের মতো’। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভিডিয়োতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ও আমার সঙ্গে একই ঘরে থাকে। একইসঙ্গে শোয়। আমি ওর যত্ন নিই রোজ।’ এছাড়াও বারমোজো জানায়, তার বাবা ৩০ বছর আগে জুয়ানিতাকে তার ঘরে নিয়ে এসেছিল। সেই থেকেই দুজনে একইসঙ্গে রয়েছে। যদিও পেরুর সংস্কৃতি দপ্তর জানিয়েছে, এই কঙ্কালটি আসলে একটি পুরুষের কঙ্কাল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পুনোর পূর্ব এলাকা থেকে এটিকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup