ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে ১২ হাজার রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ২ হাজার ঘর পুড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন ১২ হাজার রোহিঙ্গা। বর্তমানে তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। 

সোমবার (৬ মার্চ) সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে দেখা গেছে, গৃহহীন পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের পাশে বসে আছেন কেউ। কেউ কেউ ঘর থেকে পুড়ে যাওয়া মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজার শেল্টার সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এতে ১২ হাজার রোহিঙ্গা ঘর হারিয়েছে। আজ সকাল থেকে তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ঘর তৈরি করবে। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।’

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের স্হায়ী আশ্রয়স্থান করে দেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ কিংবা হতাহতের ঘটনা নেই। 

আইওএম-এর কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ জানান, সোমবার সকাল থেকে আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী তাঁবু দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ছাড়া পাঁচটি মেডিক্যাল টিম রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। 

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি জানতে কাজ চলছে।

উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা রবিবার (৫ মার্চ) বিকালে অগ্নিকাণ্ড হয়। প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পের একটি বাড়ির রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন দ্রুত আগুন পার্শ্ববর্তী ৯ এবং ১০ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।