Adenovirus: আবার এক শিশুর মৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে, আতঙ্কের নাম অ্যাডিনোভাইরাস

আবার সোমবার সকালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটল বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। মৃত শিশুর নাম আরিয়ান খান। বয়স ৮ মাস। এই শিশুটি জ্বরে ভুগছিল। সর্দি লেগে জ্বর হয়েছিল শিশুটির। শুরুটা এভাবে হলেও বড় আকার নেয় শ্বাসকষ্ট। শিশুর পরিবার আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের আবহে শিশুর মৃত্যু আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আজ, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে অসুস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে এই নিয়ে গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৯৬টি শিশুর মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। আর রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা যত সামনে আসছে তত আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। গত ১০ দিনে ৪২ জন শিশুর মৃত্যু হল। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ ছড়াচ্ছে বাবা–মায়েদের মধ্যে। তবে এই নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু একের পর এক শিশু মৃত্যু হচ্ছে। একের পর এক মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে। জীবন যুদ্ধে মারণ থাবা বসিয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস।

অন্যদিকে অ্যাডিনোভাইরাসের জেরেই সব শিশুর মৃত্যু কি না তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক যে বাড়ছে তা অস্বীকার করা যায় না। রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাতজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর সোমবার সকালে আবার এক শিশুর মৃত্যু হল। ৮ মাস বয়সের শিশু আরিয়ান খানকে অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বিপত্তি ঘটে। সর্দি– কাশি থাকলেই সেটা নিউমোনিয়ায় টার্ন নিচ্ছে বলে চিকিৎসকদের দাবি।

তবে বি সি রায় হাসপাতাল সূত্রে খবর, অ্যাডিনোভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত মাত্র ১৩ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭ শিশুর। এখানে জ্বর, নিউমোনিয়া থাকায় বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বনগাঁ মালঞ্চর বাসিন্দা চারমাসের শিশুকে। ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ তার মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে সকাল ৬টা নাগাদ বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা ১ বছর ৭ মাসের শিশুকন্যার। এই রোগ নিয়ে ৮ দিন ধরে ভর্তি ছিল ওই শিশু।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup