Euthanasia Demand of Pulwama Martyr’s Widows: ‘সরকার কথা রাখেনি’, ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন পুলওয়ামায় নিহত ৩ জওয়ানের বিধবার

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর জঙ্গি হামলার বিভীষিকায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। সেই ঘটনার চারবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল। এই আবহে ফের একবার শিরোনামে সেই হামলার ঘটনা। সেই হামলায় নিহত তিন সিআরপিএফ জওয়ানের বিধবা স্ত্রী সম্প্রতি ইচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়েছেন। তিন মহিলাই রাজস্থানের বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাঁদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, পূরণ করেনি। এই আবহে তিন জওয়ানের বিধবারা তাঁদের জীবন শেষ করার জন্য রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। শনিবার এই দাবি করেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য কিরোরি মীনা। (আরও পড়ুন: ‘ডিম-ভাত ছাড়াই জমায়েত’, ডিএ আন্দোলনে অভাবনীয় দৃশ্য, হতবাক গোটা বাংলা)

গত কয়েকদিন ধরে শহিদদের পরিবার নিয়ে রাজস্থানে ধর্নায় বসেছেন বিজেপি সাংসদ কিরোরি মীনা। বিজেপি সাংসদ মৃত জওয়ানদের বিধবাদের নিয়ে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়ে আসেন রাজভবনে। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগোতে শুরু করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। মৃত জওয়ানদের বিধবা স্ত্রীদের মারধর করে। পরে সাংসদ টুইট করে লেখেন, ‘শনিবার তিন শহিদের বিধবাকে নিয়ে রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে রাজভবনে গিয়েছিলাম। স্মারকলিপি দেওয়ার পর তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছলে পুলিশ তাঁদের মারধর করে। মঞ্জু জাট নামক এক বীর বিধবা এই ঘটনায় জখম হন। তাঁকে এসএমএস হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: মমতার মতোই এবার সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ‘নালিশ’ করতে মোদীকে চিঠি শুভেন্দুর

এদিকে নিগৃহিতা মহিলাদের প্রশ্ন, কেন তাঁদের এভাবে মারধর করা হল? তাঁরা তো তাঁদের হকের দাবি আদায় করতে গিয়েছিলেন। এদিকে ঘটনার পর শহিদ জওয়ানদের বিধবা স্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সৈনিক কল্যাণ মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিং। কিন্তু তাতেও কিছু হয়নি। শহিদ রহিতাস লাম্বার স্ত্রী মঞ্জু বলেন, ‘আমার স্বামী দেশের জন্য শহিদ হয়েছিলেন। ভেবেছিলাম আমাদের সন্তানদেরও দেশের জন্য লড়াই করতে পাঠাব। কিন্তু না। সরকার আমাদের কথা শোনে না। উলটে আমাদের মারে।’