Presidency University: হিন্দু হোস্টেলে অশান্তির জের, প্রেসিডেন্সিতে সাসপেন্ড চার TMCP নেতা

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৪ নেতাকে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হোস্টেলে অশান্তি ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনা জেরে ওই ৪ ছাত্র নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্ট এমনটাই জানিয়েছেন। অশান্তির একটি ভিডিয়ো ফুটেজ পাওয়া যায়। তাতে ওই ছাত্রদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। যদিও ৪ জনকে সাসপেন্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানান, তৃণমূল করার জন্য হিন্দু হোস্টেলে ছাত্রদের ঘরের আলো বন্ধ করে আটকে রাখা হয়েছিল। তাদের উদ্ধার করতে গেলে টিএমসিপি সদস্যদের গায়ে গরম জল ছোঁড়া হয়েছিল। সেই কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, ২০২২ সালের অগাস্টে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি ছড়িয়েছিল। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সেই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সেখানেও অশান্তির ঘটনায় ওই ৪ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পরপর দুবার এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ৪ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, অগাস্ট মাসের ঘটনা নিয়ে অসন্তুষ্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের বক্তব্য, ওই সময় তৃণমূলের কোনও ভূমিকা ছিল না। শুধুমাত্র ছাত্র পরিষদ করার অপরাধে মারধর করা হয়েছিল কয়েকজন ছাত্রকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের বক্তব্য, সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। অন্যদিকে, এসএফআই সাসপেনশনের পরিবর্তে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। এসএফআইয়ের প্রেসিডেন্সি ইউনিটের সভাপতি আনন্দরূপা পালিত জানান, ‘বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমরা চাইছি তাদের বহিষ্কার করা হোক।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup