Rakesh Singh: বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের, ভয়ঙ্কর ঘটনাটি কি?

আবার বিতর্কে নাম জড়াল বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের। এমনকী তাঁর নামে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হল। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এক পুরোহিতকে মারধর করা এবং খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। ওই পুরোহিত ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার অর্ফ্যানগঞ্জ রোডের শ্যামধাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে অশান্তি বাঁধে। তার জেরেই রাকেশ সিং এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।

ঠিক কী ঘটেছে ওয়াটগঞ্জে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, অর্ফ্যানগঞ্জ রোডের শ্যামধাম মন্দির আসলে বৃন্দাবনের একটি শাখা মন্দির। এখানকার পুরোহিত বিনয় শর্মা ওরফে বৃন্দাবন দাস। তাঁকেই মারধর ও খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরোহিত বৃন্দাবন দাবি করেন, তিনি মন্দির কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই পুরোহিতের দায়িত্ব নেন। আগে মন্দির ছোট ছিল। পরে বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মন্দিরের পরিধি বাড়ে। অনেকেই এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। রাকেশ সিং মন্দির দেখভালের সদস্যদের মধ্যে তাঁর লোক রাখতে হবে বলে দাবি করেন এবং তিনজনকে ঢুকিয়েও দেন। এই ঘটনার পরই তিনি দাবি করেন, তাঁর কথা মতো চলতে হবে। আর তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। হঠাৎ বৃন্দাবন দাসকে বাদ দিয়ে নতুন পুরোহিতকে মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তারপর ঠিক কী হল?‌ এই পরিস্থিতিতে পুরোহিত বৃন্দাবনের মূল মন্দিরে ফিরে যান। আর সেখান থেকে চিঠি নিয়ে মন্দিরে ফিরে এসেছিলেন। যে চিঠিতে লেখা ছিল, মন্দিরে পুজো করার অধিকার বৃন্দাবন দাসেরই আছে। তখন তিনি যাবতীয় উপাচার মেনে পুজো শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রাকেশ সিং। আর পুরোহিতকে প্রবল মারধর করেন। অস্ত্র বের করে খুনের হমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী মেরে বৃন্দাবন দাসের হাত ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুরোহিতের বোন। মারধর, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৃন্দাবন দাসকে বাঁচাতে এলে বোনের শ্লীলতাহানি করা হয়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে জানতে পেরে বেপাত্তা হয়েছেন রাকেশ সিং। পুলিশ নানা জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, দোল খেলতে যদি বিজেপি নেতা কলকাতায় পা রাখলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একাধিকবার এই বিজেপি নেতার নামে নানা অভিযোগ উঠেছে। এমনকী তাঁর নামে মামলা রয়েছে। এখনও কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা রয়েছে। তার মধ্যেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন রাকেশ বলে অভিযোগ।