Ration System: রেশন নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য নয়া সংঘাত, কোন ফরমান জারি করল মোদী সরকার?‌

একাধিক প্রকল্পের খাতে বকেয়া মেটানো নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য টানাপোড়েন লেগেই রয়েছে। আবার তার মধ্যেই নয়া সংঘাত লেগেছে বলে খবর। বাংলার রেশন দোকানগুলি থেকে অনলাইনে নানা সরকারি পরিষেবা প্রদান নিয়ে বিরোধ বেঁধেছে। বাংলার রেশন দোকানগুলিতে রাজ্য সরকারের বিএসকে (বাংলা সহায়তা কেন্দ্র) থাকবে নাকি কেন্দ্রের সিএসসি (কমন সার্ভিস সেন্টার) সেটা নিয়ে দুই সরকারের মতভেদেই গোলমাল শুরু হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, রেশন দোকান থেকে অনলাইন সরকারি পরিষেবা দিতে গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও সিএসসি চালু করা হোক। যা রাজ্য চাইছে না। কারণ এতে মানুষ সমস্ত পরিষেবা পাবে না।

ঠিক কী বক্তব্য রাজ্যের?‌ এদিকে কেন্দ্রের খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল–সহ মন্ত্রকের শীর্ষকর্তারা এই বিষয়ে একাধিক বৈঠক করে ফেলেছেন। সিএসসি চালু করার কথা বলে রাজ্য সরকারগুলিকে চিঠি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা মানতে নারাজ। এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘‌আমরা চাইছি রাজ্যের রেশন দোকানগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সিএসসি নয়, রাজ্য সরকারের বিএসকে চালু হোক। কারণ এটার মাধ্যমে রাজ্যের আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে অনলাইনে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে।’‌

কেন বিএসকে’‌র পক্ষে রাজ্য?‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে বিএসকে অন্যতম। রাজ্যে বিএসকে থেকে সরকারের ৪০টি দফতরের ৩২৩ ধরনের পরিষেবা অনলাইনে পান সাধারণ মানুষ। যা কেন্দ্রের সিএসসি দিয়ে সম্ভব নয়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন রাজ্যে ৩,৫৬১টি বিএসকে রয়েছে। আরও ১,৪৬৪টি কেন্দ্র খোলা হবে শীঘ্রই। তাই রাজ্যের প্রায় ২১ হাজার রেশন দোকানে বিএসকে চালু করা গেলে একধাক্কায় বিএসকের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের কর্তারা।

কেন্দ্রের বিষয়টি ঠিক কী?‌ কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, ২০টি রাজ্যের রেশন দোকানে সিএসসি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই রাজ্যগুলির প্রায় ৩৩ হাজার ১৮৮টি রেশন দোকান প্রয়োজনীয় আইডি পেয়ে গিয়েছে। যদিও গোটা দেশের নিরিখে এখনও লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশও পূরণ হয়নি। তবে এক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। সিএসসি থেকে অনলাইনে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা পরিষেবা ছাড়াও ব্যাঙ্কিং কাজ করা যাবে। তবে রেশন দোকানগুলি থেকে এই পরিষেবা সাধারণ মানুষের আদৌ কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনই প্রায় ৫১ হাজার সিএসসি নথিভুক্ত আছে।